তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশার প্রদীপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেবল গ্রিভস, সঙ্গী কেমার রোচ। দিনের খেলা তখনো প্রায় ৭০ ওভার বাকি। সফরকারীদের হারটা তখন প্রায় নিশ্চিতই। তবে ক্রাইস্টচার্চে অবিশ্বাস্য এক গল্প লিখলেন তারা দুজন। ম্যাট হেনরি, জাকারি ফকস, জ্যাকব ডাফির সঙ্গে মাইকেল ব্রেসওয়েল ও রাচিন রবীন্দ্রর স্পিনটাও সামলালেন দারুণভাবে। গ্রিভস সেঞ্চুরি করলেন, রোচও পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেললেন। কাজটা তখনো শেষ হয়ে যায়নি।
জিততে না পারলেও ড্র করতে তৃতীয় সেশনের পুরোটা সময় ব্যাটিং করতে হতো গ্র্রিভস ও রোচের। অধিনায়ক টম লাথাম বারংবার বোলিং পরিবর্তন করে চেষ্টা করলেন তাদের দুজনকে থামানোর। তবে তাদের থামানোর উপায় খুঁজে বের করতে পারলেন না। চোয়ালবদ্ধ লড়াইয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন গ্রিভস, ৫৮ রানে অপরাজিত থাকলেন রোচ। ৪১০ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৮০ রানের ম্যারাথন জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের সমান এক ড্র এনে দিলেন রোচ ও গ্রিভস। ৫৩১ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় ৬ উইকেটে ৪৫৭ রান তুলে ম্যাচ ড্র করেছে সফরকারীরা।
ক্রাইস্টচার্চে ৪ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে টেস্টের শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন হোপ ও গ্রিভস। সাবধানী ব্যাটিংয়ে প্রথম ঘণ্টা অনায়াসে কাটিয়ে দিয়েছেন তারা দুজন। তবে দেড়শ ছোঁয়ার আগে ফেরেন হোপ, ৩৮৪ বলে ১৯৬ রানের জুটি ভাঙেন ডাফি। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটকিপার লাথামকে ক্যাচ দিয়েছেন হোপ। ম্যারাথান ইনিংস খেলা ডানহাতি ব্যাটারকে থামতে হয় ২৩৪ বলে ১৪০ রান করে। দ্রুতই ফিরে গেছেন ইমালচ।
পেসার ফকসের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৯ বলে ৪ রান করা এই ব্যাটার। পরের গল্পটা শুধু রোচ ও গ্রিভসের। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে গ্রিভস সেঞ্চুরি করেছেন ২২৯ বলে। দেড়শ ছুঁয়েছেন ২৯৩ বল খেলে। ক্যারিয়ারে প্রথমবার হাফ সেঞ্চুরি করেছেন রোচ। ১১০ বলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ। একটা সময় জয়ের সম্ভাবনা জাগলেও সেটা না করে ড্রয়ের পথ বেছে নেন দুজন। শেষ বেলায় এসে ৩৮৪ বলে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন গ্রিভস। তিনি অপরাজিত ছিলেন ২০২ রানে। তাকে সঙ্গ থেকে রোচের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩৩ বলে ৫৮ রান।