চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সময় চোটে পড়েছিলেন উড। বাঁ হাটুর ক্ষতিগ্রস্থ লিগামেন্ট সারিয়ে তুলতে মার্চে অস্ত্রোপচার করেন ইংলিশ এই পেসার। মাস চারেক পর ফেরার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটা হয়ে উঠেনি। ভারতের বিপক্ষে শেষ টেস্টে খেলাতে জোর চেষ্টাও চালিয়েছে ইংল্যান্ডের মেডিকেল বিভাগ।
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে লর্ডসে তৃতীয় টেস্টের আগে তার হাঁটুতে জমে ওঠা তরল সরিয়ে নিতে হলে ফেরার সময়টা আরও পিছিয়ে যায়। অ্যাশেজের দিকে তাকিয়ে কাউন্টি ক্রিকেট দিয়ে মাঠে ফেরেন উড। খেলেছেন অ্যাশেজে প্রথম টেস্টেও। তবে ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে নেই তিনি। এমনকি তৃতীয় টেস্টেও ইংলিশ পেসারকে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশন শেষে চ্যানেল সেভেনের সঙ্গে আলাপকালে উড বলেন, ‘আমার মনে হয় কিছুটা সুযোগ আছে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে খুব সম্ভবত মেলবোর্ন এবং তারপর (সিডনি) ফেরা হবে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে এই দুইটা (টেস্ট) থেকে বাইরে থাকতে হবে।’
অস্ত্রোপচার করলেও এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়ে উঠতে পারেননি উড। অ্যাশেজের আগে ইংল্যান্ড লায়ন্সের হয়ে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। পার্থে খেলেছেন ব্যথা নিরাময়ক ইনজেকশন নিয়ে। সেরে উঠতে সেই ইনজেকশনই ভরসা উডের। তবে বয়সের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ব্যাপার থাকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে ‘বাধ্য’ হয়ে তাকে বিশ্রাম দিচ্ছে ইংল্যান্ড।
উড বলেন, ‘পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে আমি ধৈর্য্য দেখানোর, বারবার ফিরে আসার এবং যতটা দ্রুতগতিতে সম্ভব বোলিং করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার এখন বয়স হয়ে গেছে। আমি জানি না আমার শরীর আগের মতো সায় দিচ্ছে কিনা, তবে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাব। এটা এমন কিছু যা নিয়ে আমি গর্ববোধ করি—দলের জন্য দৌড়ানো এবং ভালো টিম ম্যান হওয়া।’
‘আশা করছি আমি আবারও পুরনো জায়গায় ফিরব এবং দায়িত্ব নিব। আমি প্রতিটা মুহূর্ত পার করার চেষ্টা করছি। সিরিজের শেষের দিকটা আমি টার্গেট করছি। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি বেশি কিছু করতে পারব না। আমি কয়েকটা ইনজেকশন নিয়েছি, বিশ্রাম নিচ্ছি এবং দ্রুতই রানিংয়ে ফিরব, পাশাপাশি দ্রুতই বোলিংয়েও ফিরব।’