যদিও এমন মন্তব্যের পর দুঃখপ্রকাশ করেছেন স্টোকস। জানিয়েছেন মুখ ফসকে এমন কথা বলেছিলেন তিনি। তিনি নিজেও একসময় সাবেক হবেন সেটাও মনে হয়েছে তার। নিজের এমন মন্তব্যকে ভয়ঙ্কর ভুল বলেও নিজেকে শুধরে নিয়েছেন ইংল্যান্ড দলের টেস্ট অধিনায়ক।
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপর্যয়ের পর সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক বোথাম, বয়কট, গ্রাহাম গুচ ও মাইকেল ভন, সবাই মনে করেছিলেন স্লো-পিচে লায়ন্সদের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ কোনোভাবেই পার্থের বাউন্সি উইকেটের প্রস্তুতি হিসেবে আদর্শ নয়। আগের মতো রাজ্য দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলেই মূল সিরিজে নেমেছিল ইংল্যান্ড।
দুঃখ প্রকাশ করে স্টোকস বলেন, 'আমি শব্দটাই ভুল বলেছি। সবাই জানে এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। ‘হ্যাজ-বিনস’ ভয়ংকর এক শব্দ। হঠাৎই মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। আমিও তো একদিন সাবেক খেলোয়াড় হব। ভুল শব্দচয়ন হয়েছে—এটাই সত্যি।'
বোথাম আর বয়কটও স্টোকসদের প্রস্তুতি আর 'বাজবলকে' কাঠগড়ায় তুলেছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেকরা। বিশেষ করে পেস বান্ধব উইকেটে যা উল্টো ফল দিতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন। পার্থে সেটিই ঘটেছে। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৪ রানে গুটিয়ে গেছে। প্রথম ইনিংস ৩২.৫ ওভার, দ্বিতীয় ইনিংস ৩৪.৪ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে তারা। দীর্ঘ সময় উইকেটে থাকতে পারেননি কোনো ব্যাটারই।
ইংল্যান্ড দলের সমালোচনা করে বোথাম বলেছিলেন, 'এটা ঠিক হয়নি। পার্থে আলো ভিন্ন, বল দ্রুত আসে। বাতাসও থাকে। অনেক কিছুর সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়।' এদিকে বয়কট টেলিগ্রাফে লিখেছেন, 'ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ছিল অগোছালো, বেপরোয়া—এক কথায় ‘ব্রেইনলেস’। তারা শেখে না, শুনতেও চায় না।'
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার মাইকেল জনসন ইংল্যান্ড দলকে অহংকারী বলে মন্তব্য করেছেন। তাকেও পালটা জবাব দিয়েছেন স্টোকস। তিনি বলেন, 'আমাদের বাজে বলুন, যা খুশি বলুন… তবে ‘অহংকারী’ কিছুটা বেশি কঠিন শব্দ। যাই হোক, সমালোচনা আমরা নিতেই পারি।'
সিরিজ জেতার লক্ষ্য নিয়ে স্টোকস আরও বলেছেন, 'আমরা জিততে চাই, তারাও আমাদের জিততে দেখতে চায়। আমরা একই লক্ষ্যেই কাজ করছি। এটা পাঁচ ম্যাচের সিরিজ—আমরা অ্যাশেজ জেতার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।'