সংবাদসম্মেলনে কনরাড এমন একটি শব্দ ব্যবহার করেন, যা ভারতীয় ক্রিকেট মহলের কাছে পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল। অনিল কুম্বলে-চেতেশ্বর পূজারাদের মতো সাবেক ক্রিকেটারদের মতে ম্যাচের প্রেক্ষাপট ও দুই দলের দীর্ঘ ক্রিকেটীয় সম্পর্ক বিবেচনায় এমন মন্তব্য একেবারেই প্রত্যাশিত নয়।
ইংরেজিতে 'গ্রোভেল' শব্দটি ব্যবহার করে কনরাড বলেন, 'আমরা ওদের (ভারতীয় দলকে) পায়ের তলায় রাখতে চেয়েছিলাম। ওদের মুখের কথা কেড়ে নিতে চেয়েছিলাম। ওদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়ে ব্যাট করতে নামাতে চেয়েছিলাম। বিকালের এক ঘণ্টা আর পুরো পঞ্চম দিন ব্যাট করানোই লক্ষ্য ছিল।'
কনরাড কথা বলার সময় ইংরেজিতে ‘গ্রোভেল শব্দ ব্যবহার করেন। ক্রিকেটে এই শব্দটি বহুল বিতর্কিত। বর্ণবিদ্বেষমূলক শব্দ হিসেবে এটি বিবেচিত হয়। ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সফরের আগে ইংল্যান্ডের তৎকালীন অধিনায়ক টনি গ্রেগ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন ক্লাইভ লয়েডদের উদ্দেশে।
এমন ঘটনা টেনে অনিল কুম্বলে মন্তব্য করেন, 'এটার সঙ্গে ইতিহাস জড়িয়ে আছে। পঞ্চাশ বছর আগে ইংল্যান্ডের এক অধিনায়ক একই শব্দ ব্যবহার করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। যখন আপনি এগিয়ে থাকেন, তখন শব্দচয়ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন সময়ে বিনয় সবচেয়ে বড় বিষয়। কোচ বা সাপোর্ট স্টাফের কাছ থেকে আমি এটা আশা করিনি।'
পঞ্চম দিনের খেলার আগে চেতেশ্বর পূজারা বলেন, 'এ ধরনের কথা দলকে অনুপ্রাণিত করে, কিন্তু একই সঙ্গে কষ্টও দেয়। ড্রেসিং রুমে এটি ভালোভাবে নেয়া হবে না। তবে এর জবাব দেওয়ার সেরা উপায় হলো ব্যাট হাতে তিন সেশন লড়াই করা, জুটি গড়া। আমরা এখানে এসেছি খারাপ ক্রিকেট খেলায়, জবাব কথায় নয়—ব্যাটে আসা উচিত।'
কনরাডের মন্তব্যে ম্যাচ ঘিরে বাড়তি আলোচনা তৈরি হলেও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও হারে পথে ভারত। এই প্রতিবেদন লেখার সময় জয়ের জন্য আর মাত্র চার উইকেট দরকার সাউথ আফ্রিকার। ভারতের দরকার আরো ৪৩০ রান।