ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ উইকেটই নিয়েছেন অজি পেসাররা। আগের ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়া স্টার্ক দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন আরও ৩ উইকেট। ৪টি উইকেট নিয়েছেন স্কট বোল্যান্ড। আর বাকি ৩ উইকেট পেয়েছেন ব্র্যান্ডন ডগেট। তারাই ইংল্যান্ডকে অল্প রানেই গুটিয়ে দিয়েছেন।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার হাতে ছিল মাত্র একটি উইকেট। শেষ উইকেট নিয়ে বেশিদূর এগোতে পারেনি অজিরা। তারা দিনের শুরুতেই ১৩২ রানে অল আউট হয়ে যায়। ফলে ৪০ রানের লিড নিশ্চিত করে ইংলিশরা। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বোলাররাই ছড়ি ঘুরিয়েছেন দ্বিতীয় দিন।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ইংল্যান্ড অল আউট হয়ে যায় মাত্র ১৬৪ রানে। ফলে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২০৪ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। সেই লক্ষ্য স্বাচ্ছন্দ্যে পাড়ি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ২৮.২ ওভারেই তারা এই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানেই ফিরে যান ইংলিশ ওপেনার জ্যাক ক্রলি।
দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ রান যোগ করেন বেন ডাকেট ও অলি পোপ। এই জুটি ভাঙার পর ১১ রানের মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। দলীয় ৭৬ রাবে তিনটি উইকেটের পতন হয় ইংল্যান্ডের। সেখান থেকে তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন গাস অ্যাটকিনসন।
৩৩ রান করেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার অলি পোপ। ডাকেট ২৮ ও ব্রাইডন কার্স যোগ করেন ২০ রান। ফলে কোনো মতে অস্ট্রেলিয়াকে দুশর বেশি লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারে ইংলিশরা। সহজ লক্ষ্য পেয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ব্যাটিং লাইনআপে প্রমোশন পাওয়া ট্রাভিস হেড।
যদিও তিনি আউট হয়ে গেছেন ১২৩ রান করে। তার ৮৩ বলে ঝড়ো ইনিংসে ৪টি ছক্কা ও ১৬টি চারের মার ছিল। তবে মার্নাস ল্যাবুশেন ৪৯ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। আর স্টিভেন স্মিথ ২ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অজিরা। ওপেনিং জুটিতেই জ্যাক ওয়েদারাল্ড ও হেড মিলে যোগ করেন ৭৫ রান।
যদিও এই জুটিতে ওয়েদারাল্ডের অবদান মাত্র ২৩। এরপর ল্যাবুশেনকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে হেড আরও যোগ করেন ১১৭ রান। এই জুটির ফলেই অস্ট্রেলিয়ার জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। দুই ওপেনারকেই আউট করেছেন ইংলিশ পেসার ব্রাইডন কার্স। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে জয় পেতে আর বেগ পেতে হয়নি। ল্যাবুশেন ও স্মিথ অজিদের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।