বাংলাদেশের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও টেস্ট জিতেছে ভারত। তবে স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে নিউজিল্যান্ডের কাছে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে শুভমান গিল, লোকেশ রাহুলদের। একই চিত্র সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষেও। লম্বা সময় পর কলকাতায় টেস্ট ফিরতেই মানুষের ভীড় ছিল উপচে পড়া। তবে মাঠের ক্রিকেটের সঙ্গে প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি ভারত। প্রথম দিনে সাউথ আফ্রিকাকে দুইশর নিচে আটকে দেয়ার পর দ্বিতীয় দিনে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরাও।
রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সাউথ আফ্রিকাকে ১৫৩ রানে থামিয়ে দেয় ভারত। এমন অবস্থায় রাহুল-গিলদের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১২৪ রান। অথচ দেশের মাটিতে সেই রানও করতে পারেনি ভারত। সাইমন হার্মার, কেশভ মহারাজ ও মার্কো জানসেনের বোলিংয়ে ৩০ রানে জিতে নেয় প্রোটিয়া। এমন হারের পর গম্ভীর বলেন, ‘প্রথম কথা হলো উইকেটে কোনো দৈত্য-দানব ছিল না। এটা “আনপ্লেয়বল” উইকেট না। টেম্বা বাভুমা, অক্ষর (২৬) রান পেয়েছে। ওয়াশি (ওয়াশিংটন সুন্দর ৩১) রান পেয়েছে।’
লো স্কোরিং ম্যাচ হওয়ায় অনেকে ইডেন গার্ডেন্সের পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জির সমালোচনা করছেন অনেকে। তবে পিচ কিউরেটরকে নিয়ে সমালোচনা নারাজ গম্ভীর। বরং ভারতের প্রধান কোচ কিউরেটরকে নিয়ে বলেন, ‘আমরা ঠিক এমন পিচই চেয়েছিলাম। কিউরেটর খুবই খুবই সাহায্য করেছেন। আমরা ঠিক যেটা চেয়েছিলাম সেটাই পেয়েছি। ভালো খেলতে না পারলে তো এমনই হবে।’
প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রানে অল আউট হয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা থেমেছে একশর আগেই। দুই ইনিংসেই ভারতের কোনো ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৩৯ রান এসেছিল রাহুলের ব্যাট থেকে। ৩১ রান করেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। দেশের মাটিতে ১২৪ রান তাড়া করতে না পারার জন্য ব্যাটারদের দক্ষতার দায় দিচ্ছেন গম্ভীর। তিনি মনে করেন, নিখাদ ডিফেন্স করতে পারলে এখানেও রান করা যেতো।
গম্ভীর বলেন, ‘এটা এমন উইকেট যেখানে দক্ষতা, মানসিক দৃঢ়তা ও ভালো টেম্পারমেন্ট থাকলে এবং দীর্ঘ সময় ব্যাট করতে পারলে রান পাওয়া সম্ভব। আক্রমণাত্মক খেলাটা কঠিন। লোকেশ রাহুল ও ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো যারা ভালো ডিফেন্স করেছে, রান পেয়েছে। নিখাদ ডিফেন্স থাকলে রান না পাওয়ার কারণ নেই। এমন উইকেটে আমরা এর আগেও খেলেছি।’