বেঙ্গালুরুর এই উত্থানের পেছনে রয়েছে তাদের প্রথমবারের মতো আইপিএল শিরোপা জয়, বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং ভক্তদের সঙ্গে রেকর্ডসংখ্যক সংযুক্তি। বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত বিজয় মিছিলে অংশ নেয় প্রায় পাঁচ লাখ সমর্থক, যা তাদের বাণিজ্যিক শক্তি এবং জনপ্রিয়তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ২৪২ মিলিয়ন ডলারের ব্র্যান্ড মূল্য নিয়ে দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকানাধীন দলটি কৌশলগত স্পন্সরশিপ, সফল মার্চেন্ডাইজিং এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বাজারে নিজেদের শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে। তাদের বার্ষিক ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এই ধারাবাহিকতারই প্রতিফলন।
এদিকে চেন্নাই সুপার কিংস প্রায় এক দশক পর ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশনে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। ২৩৫ মিলিয়ন ডলারে তাদের ব্র্যান্ড মূল্য বাড়লেও, প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১.৭ শতাংশ। যা শীর্ষ তিন দলের মধ্যে সবচেয়ে কম। গেল মৌসুমে গড়পড়তা পারফরম্যান্স এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির সীমিত ভূমিকা এই পতনের পেছনে বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পাঞ্জাব কিংস এবার সবচেয়ে বেশি ব্র্যান্ড মূল্য বৃদ্ধির নজির গড়েছে। দলটির মূল্য ৩৯.৬ শতাংশ বেড়েছে। পুনরায় ব্র্যান্ডিং, মালিক প্রীতি জিনতার নেতৃত্বে নতুন ব্যবস্থাপনা এবং শ্রেয়াস আইয়ারের নেতৃত্বে তরুণ দলের পারফরম্যান্স এই উন্নয়নের মূল ভিত্তি।
আইপিএলের শেষ মৌসুম ব্যবসায়িক এবং ব্র্যান্ড উভয় দিক থেকেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। পুরো লিগের বাণিজ্যিক মূল্যায়ন ১৮.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে শুধুমাত্র ব্র্যান্ড মূল্য বেড়ে হয়েছে ৩.৯ বিলিয়ন ডলার।