২০১০-১১ মৌসুমে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল ইংল্যান্ড। সেই দলের সদস্য ছিলেন ব্রড। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে অ্যাশেজ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি। এরপর থেকে ব্রড নানা সময়ে ক্রিকেট নিয়ে বিশ্লেষণ করে আসছেন।
সম্প্রতি বিবিসির একটি পডকাস্টে ব্রড বলেন, 'ইংল্যান্ড কিংবা অন্য যে কোনো দলের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় জেতা খুবই কঠিন, বিষয়টা এমনই। প্রশ্নটা আসলে ছিল, ‘কোন দল বেশি চাপে আছে?’ অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি চাপে আছে, কারণ তাদের কাছে জয়ের আশা করা হচ্ছে। ঘরের মাঠে তারা দুর্দান্ত।'
ব্রডের মতে, অজিদের ব্যাটিং লাইনআপেও স্থিতিশীলতা নেই, বিশেষ করে ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর ওপেনিংয়ে ঘাটতি স্পষ্ট, 'তাদের দল নিয়ে (ওপেনিং পজিশন) এবং অধিনায়কের (প্যাট কামিন্স) ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।'
২০১০ সালের পর এটিকে সবচেয়ে দুর্বল অস্ট্রেলিয়া দল হিসেবে দেখছেন ব্রড। তার ভাষায়, 'এই ভাবনাকে অদ্ভুত বলা যাবে না, এটা আসলে কোনো মতামত নয়, এটা বাস্তবতা। ২০১০ সালের পর সম্ভবত এটাই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বাজে দল, যখন ইংল্যান্ড সবশেষ (অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ) জিতেছিল। আর ২০১০ সালের পর এটা সেরা ইংলিশ দল।'
সবশেষ আট বছরে অ্যাশেজ ট্রফি আছে অস্ট্রেলিয়ার দখলে। তবে এবার সেই চিত্র বদলাতে পারে বলে বিশ্বাস ব্রডের। আগামী ২১ নভেম্বর পার্থ টেস্ট দিয়ে শুরু হবে দুই দলের মধ্যকার নতুন অ্যাশেজ লড়াই।