ভারতের চেয়ে ২৮৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। ইনিংসের সপ্তম ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সিরাজ। ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন ত্যাগনারায়ন চন্দরপল। স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন নীতিশ রেড্ডি। সবশেষ ১৩ ইনিংসে মাত্র একটিতে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি।
একটু পর ফিরেছেন আরেক ওপেনার জন ক্যাম্পবেলও। জাদেজার ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে অন সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে লেগ স্লিপে দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ নেন সাই সুদর্শন। ব্রেন্ডন কিং ও অ্যালিক আথানেজ মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা করতে দেননি জাদেজা। বাঁহাতি স্পিনারের বলে এজ হয়ে স্লিপে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন কিং। টিকতে পারেননি রস্টন চেজও।
কুলদীপের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। দলের রান পঞ্চাশ হওয়ার আগে শাই হোপের উইকেটও হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জাদেজার বলে ব্যাকফুটে গিয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন হোপ। তবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন ইয়াশভি জয়সাওয়াল। ৪৬ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি ক্যারিবীয়রা।
আথানাজের ৩৮ রানের সঙ্গে জাস্টিন গ্রিভসের ২৫, জেইডেন সিলসের ২২ রান কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। দুই সেশনের কম সময়ের মধ্যে সফরকারীরা গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানে। হারতে হয়েছে ইনিংস ব্যবধানে। ভারতের মাটিতে সবশেষ পাঁচ টেস্টের সবকটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কলকাতা, মুম্বাই, রাজকোট ও হায়দরাবাদের পর আহমেদাবাদেও ইনিংস ব্যবধানে হারতে হয়েছে তাদের। পাঁচ ম্যাচের একটি টেস্টও তিনদিন গড়ায়নি।
সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা। টেস্টে ভারতের মাটিতে সবচেয়ে বেশি ১০বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতলেন তিনি। ৫০ টেস্টে এমন কীর্তি গড়েছেন তারকা এই অলরাউন্ডার। এ ছাড়া টেস্টে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরার তালিকায় রাহুল দ্রাবিড়কে ছুঁয়েছেন জাদেজা। ১৬৩ টেস্টে ১১বার ম্যাচসেরা হয়েছেন দ্রাবিড়। জাদেজা সমান সংখ্যক ম্যাচসেরা হয়েছেন ৮৬ টেস্টে। সবার উপরে থাকা শচীন টেন্ডুলকার ২০০ টেস্টে ১৪বার ম্যাচসেরা হয়েছেন।