মঙ্গলবার ভারতের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। বাদ পড়াদের তালিকায় সবচেয়ে আলোচিত নাম শ্রেয়াস আইয়ার এবং ইয়াশভি জয়সাওয়াল। জয়সাওয়াল স্ট্যান্ডবাই তালিকায় আছেন, কিন্তু আইয়ারের নাম নেই সেখানে।
নির্বাচক অজিত আগারকার এ নিয়ে বলেছিলেন, 'শ্রেয়াসের সুযোগ না পাওয়াটা ওর দোষ নয়, এমনকি আমাদেরও দোষ নয়। দলে ১৫ জনই থাকতে পারে। এর বেশি ক্রিকেটারকে রাখার সুযোগ নেই। ওকে কার জায়গায় নেওয়া যেত!'
শুধু আইয়ার নন, জয়সাওয়ালের বাদ পড়াও অনেকের কাছে বিস্ময়কর। আইপিএলে নিয়মিত রান করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরেও ভালো খেলছিলেন তিনি। তবে ওপেনিং পজিশনে প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ায় সুযোগ মেলেনি।
এদিকে শ্রেয়াসকে না রাখায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি মনে করছেন, একজন ব্যাটার হিসেবে এবং অধিনায়ক হিসেবেও আইয়ার তার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেছেন।
'শ্রেয়াস আইয়ারের মতো একজন ক্রিকেটারের আর কী করার ছিল? দলে ফিরে এসে সে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়েছে... কেকেআরকে জিতিয়েছে, পাঞ্জাবকে ফাইনালে তুলেছে, দুর্বলতাও কাটিয়েছে শর্ট বলে। রাবাদা আর বুমরাহদের সহজেই খেলেছে। তার জন্য আমি ভীষণ দুঃখিত। শ্রেয়াস আর জয়সাওয়ালের প্রতি এটা একেবারেই অন্যায়।'
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আইয়ার এই ফরম্যাটে ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে সাতটি ফিফটি ও একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৫০ এর কাছাকাছি গড় এবং ১৭৯ এর বেশি স্ট্রাইকরেট ছিল তার।
সাবেক অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান মনে করেন তাকে শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের অংশ হিসেবেও বিবেচনা করা উচিত ছিল, 'শ্রেয়াস আইয়ার কেবল টি-টোয়েন্টি দলেই নয়, নেতৃত্বের গ্রুপেও যে সে অনুপস্থিত আমার এ নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। এই মুহূর্তে ধৈর্যই তার জন্য প্রধান হাতিয়ার।'
আইয়ারের বাদ পড়াকে একধরনের পক্ষপাত বলে মনে করছেন ভারতের সাবেক সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার, 'আমার একটা বিষয় জানার ইচ্ছা– কীভাবে আপনাদের রিজার্ভ খেলোয়াড়ের তালিকায়ও সে (আইয়ার) নেই? অথচ বলছেন সে শক্তিশালী প্রতিযোগী ছিল। মাঝেমধ্যে নির্বাচকদের সভা ও আলোচনাকে খুব মজার মনে হয়। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, ২০ জনের তালিকায়ও কীভাবে আইয়ারের জায়গা হয় না। তার মানে হয়তো তাকে টি-টোয়েন্টির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে না। সম্ভবত আইয়ার অন্য কারও চেয়ে কিছুটা কম পছন্দের!'