সবধরনের ক্রিকেট থেকে ৫ বছর নিষিদ্ধ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার

আন্তর্জাতিক
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৫ বছর নিষিদ্ধ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার
ফাইল ছবি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর সালিয়া সামানকে অন্তর্বর্তীকালীন বহিষ্কার করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। দুই বছরের বেশি সময় পর অবশেষে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতি-বিরোধী নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৫ বছরের জন্য সবধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছেন সামান।

২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে পুনে ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলেছিলেন সামান। ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করার অভিযোগে ২০২৩ সালে তাঁর নামে অভিযোগ আনা হয়। শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা এই ক্রিকেটারসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। সেই তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের নাসির হোসেন। দুর্নীতিবিরোধী কোড ভঙ্গের তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে।

যার ফলে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন নাসির। বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে চলতি বছরের এপ্রিলে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) দিয়ে মাঠের ক্রিকেটেও ফিরেছেন তিনি। অভিযোগের তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশের নাসিরই একমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।

এ ছাড়া মালিকানায় থাকা কৃষাণ কুমার চৌধুরী ও পরাগ সাংভি, ব্যাটিং কোচ আজহার জাইদি ও ক্রিকেটার হিসেবে পুনের হয়ে খেলা রিজওয়ান জাভেদ, সামান, সানি ধিলন ও শাদাব আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। সামানের বিরুদ্ধে তিনটি আইন ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। যেখানে ২.১.১ ধারা অনুযায়ী ২০২১ সালে পুনের হয়ে খেলার সময় ম্যাচ ফিক্সিং, সাজানো বা বেআইনিভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টায় অংশ নিয়েছিলেন।

২.১.৩ ধারা অনুযায়ী আরেকজনকে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর জন্য পুরস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সালান। ২.১.৪ অনুযায়ী, সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনো অংশগ্রহণকারীকে ধারা ২.১ ধারা ভঙ্গ করতে প্রলুব্ধ, প্ররোচিত, নির্দেশ, উৎসাহিত বা সহায়তা করেছিলেন। এই তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৫ বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন সালান। ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে লঙ্কান এই ক্রিকেটারের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

আরো পড়ুন: নাসির হোসেন