ভারতকে না করে ইংল্যান্ডকে ৩ ফাইনাল আয়োজনের স্বত্ব দিল আইসিসি

ছবি: আইসিসি

টেস্ট ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তুলতেই আয়োজন করা হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০২১ সালে প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। পরের চক্রে ২০২৩ সালে শিরোপা ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ চক্রের ফাইনালে অজিদের হারিয়ে ২৭ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে সাউথ আফ্রিকা। সবগুলো ফাইনালই হয়েছে ইংল্যান্ডের ভিন্ন তিনটি ভেন্যুতে।
আমি নির্বাচক হলে বুমরাহকে আইপিএল খেলতে দিতাম না: ভেংসরকার
৬ ঘন্টা আগে
১৭ জুন শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৫–২৭ চক্র। নতুন আসর শুরুর আগে থেকেই পরের তিন চক্রের ফাইনালের ভেন্যু নির্বাচন করতে ব্যস্ত ছিল আইসিসি। চলতি মাসে সিঙ্গাপুরে হওয়া সভায় চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল আগামী তিন ফাইনালের ভেন্যু। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) স্বত্ব দিয়েছে আইসিসি।

যার ফলে ২০২৭, ২০২৯ এবং ২০৩১ সালের ফাইনালও হবে ইংল্যান্ডেই। ভারতের আগ্রহে আইসিসি রাজী না হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণও রয়েছে। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে ইংল্যান্ডের গ্রহণযোগ্যতা থাকায় পিছিয়ে গেছে ভারত। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, জুনে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল। ওইদিকে মার্চ-মে সময়ে ভারতে আয়োজিত হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)।
‘সিরাজের খাদ্যাভাস অনুসরণ করা উচিত স্টোকস-ওকসদের’
৬ ঘন্টা আগে
এমন অবস্থায় আইপিএল শেষেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজন করতে হবে বিসিসিআইকে। এদিকে জুনে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া ভালো থাকায় বিবেচনা করা হয় তাদের। পাশাপাশি বেশিরভাগ টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে টাইম জোন মিলে যাওয়ায় ব্রডকাস্টারদের জন্য লাভজনক হয়ে উঠে। সবচেয়ে বড় কারণ টিকিট বিক্রির বিষয়টি। ইংল্যান্ডে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ থাকায় কোন দুই দল ফাইনালে গেছে সেটার উপর টিকিট বিক্রি খুব বেশি প্রভাব ফেলে না।
সাউথ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালের প্রথম তিনদিনে ৭৫ হাজার দর্শক এসেছে। বেশিরভাগের ভয় ভারতে ফাইনাল হলে আর শুভমান গিলরা যদি ফাইনালে না ওঠে তাহলে দর্শকখরা দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কও একটা বড় সমস্যা। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে তখন ভেন্যু নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে আইসিসিকে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক বৈরিতা বেড়ে যাওয়ায় ভারতের মাটিতে খেলতে যেতে রাজী নয় পাকিস্তান। একই চিত্র ভারতের ক্ষেত্রেও।