আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসছে বড় পরিবর্তন, বাড়তি সুবিধা পাবেন বোলাররা

ছবি: ম্যাক্সওয়েলের হাতে নতুন বল তুলে দিচ্ছেন আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেলবরো

এর ফলে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই পরিবর্তনের হাওয়া লাগতে চলেছে। ২০১১ বিশ্বকাপের পর থেকেই ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বলের নিয়ম চালু করা হয়। এই নিয়মে বড় বদল আসছে। এখন থেকে প্রথম ওভার থেকে ৩৪তম ওভার পর্যন্ত দুটি নতুন বল ব্যবহার হবে দুই প্রান্ত থেকে। ৩৫তম ওভারে ফিল্ডিং করা দল একটি বল বেছে নিতে পারবে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লের নিয়ম পরিবর্তন করল আইসিসি
২৭ জুন ২৫
পরবর্তী ১৬ ওভার দুই প্রান্ত থেকেই একই বলে খেলা হবে। মূলত রান–বন্যা রোধ এবং রিভার্স সুইং ফিরিয়ে আনতেই এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একটি বল ব্যবহারের পাশাপাশি, বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় যদি ম্যাচ ২৫ বা তার কম ওভারে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে উভয় দলকে শুধুমাত্র একটি নতুন বল দেয়া হবে।

এদিকে ক্রিকেটে বেশ অনেকদিন ধরেই কনকাশন সাবের নিয়ম রয়েছে। তবে অনেক সময়ই দলগুলো এই নিয়মের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাড়তি একজন ব্যাটার বা বোলার খেলিয়ে ফেলে। এই নিয়মেও আসছে পরিবর্তন। এখন থেকে ম্যাচ শুরুর আগেই প্রতিটি দলকে পাঁচজন সম্ভাব্য কনকাশন রিজার্ভ খেলোয়াড়ের তালিকা দিতে হবে।
এটা আমার জন্য সত্যিই বিব্রতকর: বুলবুল
৬ ঘন্টা আগে
এদের মধ্যে থাকবেন একজন ব্যাটার, উইকেটকিপার, পেসার, স্পিনার ও অলরাউন্ডার। বিরল পরিস্থিতিতে যদি কোনো কনকাশন রিজার্ভ খেলোয়াড়ও চোট পান, তাহলে ম্যাচ রেফারি বিশেষ বিবেচনায় নতুন একজনকে নেয়ার অনুমতি দেবেন। এ ছাড়াও, কিছু অন্যান্য নিয়ম, যেমন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) ব্যবহারের স্পষ্টতা, ক্যাচ সম্পন্ন করা বা বাউন্ডারি রোপের কাছে বাউন্ডারি সেভ করার বিষয়ে সংশোধনী আনা হবে।
আইসিসি বরাবরই ক্রিকেটকে আরও আধুনিক করতে বিভিন্ন নিয়ম ও প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। টেস্ট ক্রিকেটে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে ১৭ জুন ২০২৫, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে গল টেস্ট দিয়ে। ওয়ানডেতে শুরু হবে ২ জুলাই ২০২৫ থেকে। টি-টোয়েন্টিতে ১০ জুলাই ২০২৫ থেকে।