কোনো ঘোষণা দিচ্ছি না, আমি খেলা চালিয়ে যাব: কোহলি

ছবি: বিরাট কোহলি

দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যাওয়ার আগে ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না কোহলির। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টে ব্যর্থ হওয়া ডানহাতি ব্যাটার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও জ্বলে উঠতে পারেননি। ছয় ইনিংসে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া সফরেও সুবিধা করতে পারেননি তিনি। একটি সেঞ্চুরি পেলেও পুরো সিরিজ জুড়ে হাসেনি কোহলির ব্যাট।
আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের সেরা পাঁচে ভারতের ৩
১২ মার্চ ২৫
অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্যর্থ হয়ে ফেরা ডানহাতি ব্যাটার ১২ বছর পর রঞ্জি ট্রফিতে ফিরেও রানের দেখা পাননি। টেস্টের এমন ছন্দহীনতার মাঝে ওয়ানডেতেও সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না। ইংল্যান্ড সিরিজে একটি হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া কোহলি অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গিয়েই রানের দেখা পেয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পাশাপাশি কিউইদের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন গ্রুপ পর্বের ম্যাচে।
এমন পারফরম্যান্সের পরও ধারণা করা হচ্ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ করেই ক্রিকেট ছাড়বেন কোহলি। তবে কিউইদের হারিয়ে শিরোপা জেতার পর সেসব নিয়ে কথাই বলেননি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরুর আগে অবসর ইস্যুতে মুখ খুলেছেন তিনি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ‘ইনোভেশন ল্যাব ইন্ডিয়ান স্পোর্টস সামিটে’ উপস্থিত হয়ে কোহলি নিশ্চিত করেছেন তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন।

এ প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, ‘ঘাবড়াবেন না। আমি কোনো ঘোষণা দিচ্ছি না। এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিক আছে। আমি এখনও খেলাটা খেলতে ভালোবাসি। আমি অর্জনের জন্য খেলাটি খেলি না। নিখাদ আনন্দ, তৃপ্তি ও খেলাটির প্রতি ভালোবাসা থেকেই খেলি। যতক্ষণ সেই ভালোবাসা অক্ষুণ্ণ থাকবে, আমি খেলা চালিয়ে যাব। এই বিষয়ে আমাকে নিজের সঙ্গে সৎ থাকতে হবে।’
২০২১ বিশ্বকাপের পর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল বরুনকে
১৫ ঘন্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ সফরে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি কোহলি। পার্থের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেও পুরো সিরিজে ৫ টেস্টের ৯ ইনিংসে ২৩.৭৫ গড়ে ১৯০ রান করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। নিজের ক্যারিয়ারে সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরকেই সবচেয়ে হতাশার বলে জানিয়েছেন কোহলি। পাশাপাশি আর কখনো অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট খেলতে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত নন।
কোহলি বলেন, ‘আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, (ক্যারিয়ারের কোন সময়টায়) সবচেয়ে বেশি হতাশ ছিলাম, সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফর, যেটা এখনও তরতাজা। তাই এটা আমার কাছে সবচেয়ে হতাশার ছিল। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর দীর্ঘ দিন আমাকে অনেক ভুগিয়েছে। কিন্তু এবারেরটিকে সেভাবে দেখতে পারছি না। চার বছর পর অস্ট্রেলিয়া সফরে হয়তো নাও থাকতে পারি। জানি না।’