নট আউট কোহলি, স্মিথ বললেন, ‘১০০ ভাগ আউট ছিল’
ছবি: বিতর্ক তৈরি হওয়া ক্যাচ নিয়ে কথা বলছেন স্টিথ স্মিথ, ইন্টারনেট
ঘটনাটি ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের অষ্টম ওভারের। জয়সাওয়াল ফেরার পর চার নম্বরে ব্যাটিং করতে আসেন কোহলি। ব্যাটে নেমে স্কট বোল্যান্ডের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে খেলতে গিয়ে এজ হয়ে দ্বিতীয় স্লিপের দিকে ক্যাচ তুলে দেন। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল হাতের মুঠোয় নেয়ার চেষ্টা করেন। তবে হাতে জমাতে পারেননি তিনি।
মাটির কাছাকাছি জায়গা থেকে তালুবন্দি করার চেষ্টায় থাকায় স্মিথ যখন উপরের দিকে ওঠছিলেন তখন বল চলে যায় গালি অঞ্চলে থাকা মার্নাস ল্যাবুশেনের হাতে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে উল্লাস করতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা। অনফিল্ড দুই আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ও মাইকেল গফ সিদ্ধান্ত নিতে তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হোন। বেশ কয়েকটি অ্যাঙ্গেল বিবেচনা করে কোহলিকে নট আউট দেন উইলসন।
তৃতীয় আম্পায়ারের বিবেচনায় স্মিথের হাত থেকে বল মাটি ছুঁয়ে পরবর্তীতে ল্যাবুশনের হাতে তালুবন্দী হয়েছে। যদিও আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি অজিরা। প্রথম ইনিংসের খেলা শেষে ফক্স স্পোর্টসের সঙ্গে আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা এই ব্যাটারের দাবি, কোহলি শতভাগ আউট ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে স্মিথ বলেন, ‘১০০ ভাগ নিশ্চিত ওটা ক্যাচ ছিল। অস্বীকার করার সুযোগই নেই। এক শ ভাগ ছিল। কিন্তু সিদ্ধান্তটা শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারেরই।’
জয়সাওয়ালকে নিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তের মতো এবারও তৈরি হয়েছে দুই পক্ষ। অ্যালান বোর্ডার, মার্ক ওয়াহ, মাইকেল ভনরা মনে করেন, সত্যিকার অর্থে আউট ছিলেন কোহলি। তবে মার্ক নিকোলাস ও ইরফান পাঠানদের বিশ্বাস, সঠিক সিদ্ধান্তই দিয়েছেন আম্পায়ার। এদিকে আইসিসির বর্ষসেরা সাবেক আম্পায়ার সাইমন টফেল জানিয়েছেন, তৃতীয় আম্পায়ার বল মাটিতে স্পর্শ করতে দেখেছেন এবং সেই প্রমাণের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চ্যানেল সেভেনের সঙ্গে আলাপকালে টফেল বলেন, ‘টিভি আম্পায়ার এখানে দুটি ব্যাপার দেখছেন। একটি হলো, ফিল্ডারের আঙুল ছিল বলের নিচে। এখানে তিনি সন্তুষ্ট। তবে তিনি (আম্পায়ার) বিশ্বাস করেন, যে ছবিগুলো তিনি দেখেছেন, তাতে তার কাছে পরিষ্কার মনে হয়েছে যে, বল মাটি স্পর্শ করেছে। এখানেই মূল চ্যালেঞ্জ, স্লো-মো দিয়ে ধীরগতিতে দেখলে। সত্যিকারের গতিতে দেখলে মনে হয়, এটা ঠিক আছে (ক্যাচ হয়েছে)। তবে তৃতীয় আম্পায়ার এখানে কী করেছেন, তা নিশ্চিতভাবেই বুঝতে পারছি আমি।’
‘তিনি বিশ্বাস করেন, বল মাটিতে স্পর্শ করতে দেখেছেন তিনি এবং সেভাবেই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এমনিতেই ন্যায্য ক্যাচের ক্ষেত্রে আইসিসির প্রটোকল অনুযায়ী, বলের নিচে আঙুল থাকলেই সেটাকে যথেষ্ট বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে এখানে সমস্যা হলো, এখন আর মাঠের আম্পায়ারদের সফট সিগন্যাল নেওয়ার নিয়ম নেই। এখন ব্যাপারটি পুরোপুরি টেলিভিশন আম্পায়ারের ওপর।’