গত আসরের শুরুতে দলের সঙ্গে যোগ দিলেও সুযোগ পাচ্ছিলেন না মালান। বরিশালে তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, তাওহীদ হৃদয় কিংবা মাহমুদউল্লাহর মতো দেশি তারকা থাকায় অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে। তবে কয়েক ম্যাচ পর যখন সুযোগ পেয়েছেন সেটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন মালান। বরিশালের হয়ে গত মৌসুমে ৯ ম্যাচে ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ৩১৬ রান করেছিলেন।
ফাইনালে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি তিনি। শরিফুল ইসলামের বলে এক রান করে ফিরেছিলেন লেগ বিফোর উইকেট হয়ে। বাংলাদেশের কন্ডিশনে বরাবরই ভালো খেলা মালান রংপুরের জার্সিতেও নিজেকে মেলে ধরতে চাইবেন। জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ায় বিপিএলের আগামী আসরের পুরোটা সময় ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নদের হয়ে খেলবেন মালান।
ইংল্যান্ডের সাবেক ওপেনারের পাশাপাশি নিলামের পর কাইল মেয়ার্স, ইফতিখার আহমেদ ও ফাহিম আশরাফের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করেছে রংপুর। বাকিরা পুরো মৌসুম খেললেও ফাহিম কতদিন খেলতে পারবেন সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। সিলেট পর্বে এলেও পাকিস্তানের শ্রীলঙ্কা সফর থাকায় ফিরতে হতে পারে ডানহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে। তবে ১২ জানুয়ারির পর আবারও বিপিএলে ফিরতে পারবেন তিনি।
বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তিতে বেশ এগিয়েই রংপুর। তাদের ৪ জনের পাশাপাশি নিলামের আগে খাওয়াজা নাফে ও সুফিয়ান মুকিমকে দলে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নিলাম থেকে তারা দলে টেনেছে এমিলিও গে এবং মোহাম্মদ আখলাককে। এ ছাড়া দেশি ক্রিকেটার হিসেবে নুরুল হাসান সোহান ও মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে চুক্তি করেছে রংপুর।
নিলাম থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি দলে টেনেছে লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম, নাঈম হাসান, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, ইফতেখার হোসেন ইফতি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আব্দুল হালিম, মেহেদী হাসান সোহাগের মতো স্থানীয় ক্রিকেটারদের।
রংপুর রাইডার্স—
সরাসরি চুক্তি— নুুরুল হাসান সোহান, মুস্তাফিজুর রহমান, খাওয়াজা নাফে, সুফিয়ান মুকিম, কাইল মেয়ার্স, ফাহিম আশরাফ, ইফতিখার আহমেদ, ডেভিড মালান।
নিলাম থেকে— লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম, নাঈম হাসান, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, ইফতেখার হোসেন ইফতি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আব্দুল হালিম, মেহেদী হাসান সোহাগ, এমিলিও গে, মোহাম্মদ আখলাক।