ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো আইপিএলে ট্রেড হলেন শার্দুল। ২০১৭ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (বর্তমান পাঞ্জাব কিংস) থেকে কিনে নিয়েছিল রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টস। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে শার্দুলকে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। সবগুলো ক্যাশ টাকায় ট্রেড হয়েছে। আইপিএলের গত মৌসুমে অবিক্রিত ছিলেন শার্দুল।
মেগা নিলামে অবিক্রিত থাকায় এসেক্সের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে ইংল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে মহসিন চোটে পড়ায় ২ কোটি রুপিতে তাকে দলে নেয় লক্ষ্ণৌ। তৎকালীন মেন্টর জহির খানের চাওয়াতে ভারতীয় অলরাউন্ডারকে দলে নিয়েছিল তারা। লক্ষ্ণৌর হয়ে ১০ ম্যাচে ১১.০২ ইকনোমি রেটে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন শার্দুল। এমন পারফরম্যান্সের পরও তাকে ছেড়ে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
আইপিএলে কোনো ক্রিকেটারকে ট্রেড করতে চাইলে প্রথমে বিসিসিআইয়ের কাছে ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ জমা দিতে হয়। পরবর্তীতে ওই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেড সম্পন্ন করে বিসিসিআই। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ২০২৬ আইপিএলের নিলামের আগে ২ কোটি রুপিতে শার্দুলকে দলে নিয়েছে মুম্বাই। ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বাইয়ের অধিনায়কত্ব করেন শার্দুল।
আইপিএলে ২০১০-১২ পর্যন্ত সাপোর্ট বোলার ছিলেন তিনি। এবার অনেকটা নিজের ঘরে ফিরছেন তিনি। এদিকে মুম্বাই থেকে অর্জুন টেন্ডুলকারকে নিচ্ছে লক্ষ্ণৌ। গত বছর ৩০ লাখ রুপিতে বাঁহাতি পেসারকে দলে নেয় মুম্বাই। যদিও ম্যাচ খেলাতে পারছে না তারা। প্রথমবার ২০২১ সালে তাকে দলে নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে মুম্বাইয়ের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় অর্জুনের।
এখনো পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন বাঁহাতি এই পেসার। যেখানে মাত্র তিনটি উইকেট পেয়েছেন। অর্জুন যাতে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় এজন্য লক্ষ্ণৌয়ের সঙ্গে ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুম্বাই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০২২-২৩ মৌসুমে গোয়ায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত মুম্বাইয়ের হয়ে খেলতেন অর্জুন।