তাড়াহুড়ো করে বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে বিসিবি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিতে না পারা, মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার না থাকার পাশাপাশি মাঠের খেলার বেশ কিছু ঘটনায় স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধও পাওয়া গেছে। অভিযোগ আসতেই সেটা তদন্ত করতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন বিসিবি।
সবার সঙ্গে কথা বলা শেষে প্রায় তিন হাজার পৃষ্ঠার বেশির একটি প্রাথমিক রিপোর্ট আমিনুল ইসলাম বুলবুলের হাতে দিয়েছিলেন তারা। নতুন স্বাধীন তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণ শেষে সেপ্টেস্বরের শেষে বিসিবি সভাপতি চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার কথা ছিল। তবে প্রায় মাসখানেক দেরিতে সেটা হাতে পেয়েছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানানো হয়, অভিযুক্তদের বিপিএল খেলতে দেয়া হবে না।
এমন কী ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অলিখিতভাবে একটা নির্দেশনাও দেয়া হবে কোন কোন ক্রিকেটার কিংবা কোচিং স্টাফকে নেয়া যাবে না। তবে কদিন আগে নিজেদের অবস্থান পরির্তন করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরোপুরি প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের আগামী বিপিএলে খেলতে বাঁধা দিচ্ছে না বিসিবি। তবে অভিযুক্ত কোচ–কর্মকর্তারা কেউই টুর্নামেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবেন না।
যদিও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা জানান, প্রাথমিক সত্যতা বা প্রমাণ পাওয়াদের শাস্তি দেয়া হবে বিপিএলের আগেই। আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এবং প্রাথমিক সত্যতা বা প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা বিপিএলের আগেই গ্রহণ করা হবে। সুতরাং ফিক্সারদেরকে নিয়ে বিপিএল হচ্ছে, এ ধরনের কিছু আসলে হচ্ছে না। আমরা এই বিপিএলটা সর্বোচ্চ স্বচ্ছভাবে করতে চাই।’
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৯ ডিসেম্বর মাঠে গড়াতে পারে বিপিএল। যার ফাইনাল হতে পারে ২০২৬ সালের ১৬ জানুয়ারি। টুর্নামেন্টের আগে আগামী ১৭ নভেম্বর হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। আগামী পাঁচ মৌসুমের জন্য পাঁচটি দল বেছে নিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে বিপিএল খেলতে দেখা যাবে ঢাকা ক্যাপিটালস, চট্টগ্রাম রয়্যালস, সিলেট টাইটান্স ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে।