ভিডিওতে এসে তিনি সেই নোটিশ ছিড়ে ফেলে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। আলি খানের বিরুদ্ধে পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর যে শর্ত রয়েছে সেসব ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে পিসিবি। ক্ষমা না চাইলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে চুক্তি বাতিলেরও হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
পিসিবির নোটিশ পেয়ে মুলতান সুলতান্সের মালিক বলেন, ‘আমি পিসিবি থেকে সমস্যা সমাধানে কখনোই একটি সিঙ্গেল কল, মেসেজ, ই-মেইল কিংবা আমন্ত্রণ পাইনি। তার পরিবর্তে আমাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলো। যদি আপনারা এতটাই সামর্থ্যবান হয়ে থাকেন, তাহলে জানার কথা যে, এভাবে বিষয়টি হ্যান্ডেল করা উচিত নয়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘পিএসএল ম্যানেজমেন্ট ঘিরে রয়েছে কতগুলো “ইয়েস-ম্যান” (সহমত পোষণ করা ব্যক্তি) লোক। যারা কোনো সমালোচনা গ্রহণ করতে রাজি নয়। যদিও সব সময় বলে আসছে লিগটি ক্রিকেটভক্ত এবং পুরো পাকিস্তানের জন্য, ম্যানেজমেন্টের কর্তা-ব্যক্তিদের কথামতো চলবে না’
এই ভিডিও বার্তার শেষ দিকে পিসিবির দেওয়া আইনি নোটিশ ছিড়ে ফেলেন আলি খান তারিন। এরপর তাকে বলতে দেখা যায়, ‘আমাকে ডাকুন, চা-বিস্কুটের প্রস্তাব দিন এবং এরপর একসঙ্গে কথা বলা যাবে। এভাবে প্রকাশ্যে সমালোচনার বিষয় সমাধান এবং লিগের উন্নতিতে কাজ করা যাবে। (লিগ্যাল নোটিশ ছিঁড়তে ছিঁড়তে) আশা করি আপনারা আমার ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিওটি পছন্দ করবেন।’
গত ১২ সেপ্টেম্বর পাঠানো আইনি নোটিশে পিসিবি অভিযোগ করেছে, আলি তারিন পিএসএলের সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে ‘ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও মানহানিকর’ মন্তব্য করেছেন। বোর্ডের দাবি, তারিন ইচ্ছাকৃতভাবে লিগের বাজারমূল্য কমানোর চেষ্টা করেছেন, যাতে তিনি কম দামে নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নবায়নের সুযোগ পান। এমনকি অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরাও নাকি পিসিবিকে তারিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন, কারণ তিনি টুর্নামেন্টটির মার্কেটিং প্রচারণা নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
পিসিবির চিঠিতে আরও কিছু তুলনামূলক ক্ষুদ্র অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এক ভিডিওতে দেখা যায়, তারিন মজার ছলে খেলোয়াড়দের উদ্দেশে বলেন—বোলারের বাউন্সারে ব্যাটসম্যানের হেলমেটে বল লাগলে পুরস্কার দেওয়া হবে। পিসিবি ঘটনাটিকে “নিন্দনীয়” আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেছে, এটি খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করে। তবে তারিনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, মন্তব্যটি ছিল নিছক রসিকতা, এবং ভিডিওটি পরবর্তীতে সরিয়ে ফেলা হয়। সুলতানসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত মৌসুমে তাদের বোলাররাই লিগে সবচেয়ে কম বাউন্সার করেছিলেন।