বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি: আইপিএল শিরোপা-উদযাপনের নিয়ম বেঁধে দিচ্ছে বিসিসিআই

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ
বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি: আইপিএল শিরোপা-উদযাপনের নিয়ম বেঁধে দিচ্ছে বিসিসিআই
শিরোপা উদযাপনে ব্যস্ত কোহলিরা, ফাইল ফটো
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) প্রথম আইপিএল শিরোপা উদযাপন ঘিরে বেঙ্গালুরুতে ঘটে গেছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শিরোপা জয়ের পরদিন এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে অতিরিক্ত ভিড় ও বিশৃঙ্খলার ফলে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। এই ঘটনায় নড়ে বসেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। আইপিএলের শিরোপা উদযাপন নিয়ে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে তারা।

বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে উদযাপনের সময় নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। বোর্ডের সচিব দেবজিত সাইকিয়া ইন্ডিয়া টুডে'কে বলেন, 'বোর্ড বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিটি ঝুঁকির দিক বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে।'

প্রাথমিকভাবে বিসিসিআই এ ঘটনার দায় নিতে অস্বীকার করলেও পরে তারা একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির কাজ হবে ভবিষ্যতের জন্য নির্দিষ্ট নিরাপত্তা নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে বোর্ড উদযাপনসংক্রান্ত নতুন কিছু নিয়ম চালুরও সিদ্ধান্ত নেয়।

৪ জুন বেঙ্গালুরুতে ট্রফি নিয়ে ফেরে আরসিবি দল। প্রথমে তারা দেখা করে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার সঙ্গে। এরপর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভক্তদের জন্য আয়োজিত হয় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। যদিও শহরের ট্রাফিক পুলিশ বাস প্যারেডের অনুমতি দেয়নি, তবুও ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের পক্ষ থেকে প্যারেডের ঘোষণা দেয়।

প্যারেড বাতিল হলেও বিকেলের আগেই স্টেডিয়ামের আশপাশে ভিড় করেন দুই লাখের বেশি সমর্থক। অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে না পারায় ঘটে পদদলনের ঘটনা। এই ঘটনায় আরসিবির মার্কেটিং প্রধান ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হন। নৈতিক দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (কেসিএ) সেক্রেটারি ও কোষাধ্যক্ষ।

দযাপনে নতুন কিছু নিয়ম আসতে পারে। ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত সেই নিয়মগুলো হচ্ছে-

১। শিরোপা জয়ের ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠান করে কোনো উদযাপন করা যাবে না।

২। হুটহাট ও তাড়াহুড়া করে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না। এতে বিশৃঙ্খলা এড়ানো যায়।

৩। বিসিসিআইয়ের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না।

৪। বোর্ডের লিখিত অনুমোদন ছাড়া উদযাপনসংক্রান্ত কোনো অনুষ্ঠান নয়।

৫। ৪ থেকে ৫ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা বাধ্যতামূলক।

৬। প্রতিটি ভেন্যু ও যাতায়াতপথে কয়েক লেয়ারের নিরাপত্তা টিম রাখতে হবে।

৭। দলের বিমানবন্দর থেকে ইভেন্ট ভেন্যু পর্যন্ত চলাচলের সময় সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৮। খেলোয়াড় ও স্টাফদের জন্য ইভেন্টজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৯। জেলা পুলিশ, রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে।

১০। সিটি করপোরেশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র ছাড়া কোনো আয়োজন করা যাবে না।

আরো পড়ুন: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু