দাপুটে জয়ে ফাইনালে বরিশাল
ছবি: সবার আগে ফাইনালে ফরচুন বরিশাল, ক্রিকফ্রেঞ্জি
প্রতিপক্ষ এক হলেও ম্যাচের গুরুত্বটা দুই দলের কাছেই সমান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চিটাগং যেন ম্যাচের ছন্দই ধরতে পারলেন না। পারভেজ ইমন ও শামীম পাটোয়ারীর জুটি কেবল একশ পার করেছে। শামীমের ৭৯ রানের ইনিংস খেলার দিনে চিটাগং ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তোলে। কিংসদের দেড়শতে আটকে দেয়ার কাজটা করেছেন কাইল মেয়ার্স ও মোহাম্মদ আলী। তাদের দুজনের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি চিটাগংয়েল ব্যাটাররা।
দোষীদের বিচার না হলে বিপিএল ছাড়বেন বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক
৪ ঘন্টা আগেউইকেট বিবেচনায় লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় হওয়ার কথা ছিল না তারকায় ঠাসা বরিশালের ব্যাটিং লাইন আপের জন্য। শেষ পর্যন্ত কঠিন হতেও দেননি তামিম, তাওহীদ হৃদয় এবং ডেভিড মালানরা। অধিনায়ক তামিম ২৯ রানে ফিরে গেলেও হৃদয় ৮২ এবং মালান ৩৪ রানের ইনিংস খেলে বরিশালকে ফাইনালে তুলেছেন। ৯ উইকেটে হেরে যাওয়া চিটাগংয়ের এখনও সুযোগ থাকছে ফাইনালে যাওয়ার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে খেলতে হবে তাদের।
রান তাড়ায় তামিম ইকবাল ও তাওহীদ হৃদয় মিলে ফরচুন বরিশালকে ভালো শুরুই এনে দিলেন। সবশেষ কয়েক ম্যাচে ওপেনিং করলেও জুটি হিসেবে ভালো করতে পারছিলেন না তারা। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম কোয়ালিফায়ারে এসে জ্বলে উঠল তামিম ও হৃদয় জুটি। দ্রুত রান তুলতে না পারলেও উইকেট হারাচ্ছিলেন না তারা। পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে বরিশাল তাই ৪০ রান তোলে।
পাওয়ার প্লে শেষের পর উইকেট হারায় বরিশাল। তামিমকে ফিরিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ। ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে অফ স্টাম্পে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় সীমানার কাছে খাওয়াজা নাফেকে ক্যাচ দিয়েছেন। বরিশালের অধিনায়ক আউট হয়েছেন ২৬ বলে ২৯ রান করে। তিনে নামা মালানও দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন।
বিপিএলে প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে সরাসরি চুক্তিতে বরিশালে যোগ দিয়েছিলেন হৃদয়। তবে ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে পারছিলেন না ডানহাতি এই ব্যাটার। সবগুলো ম্যাচে খেলার সুযোগ পেলেও হৃদয় হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন প্রথম কোয়ালিফায়ারে এসে। মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাটিং করে যাওয়া তরুণ এই ব্যাটার ৪৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত বরিশালের ৯ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়। আরেক ব্যাটার মালান অপরাজিত ছিলেন ৩৪ রানে।
হৃদয় ৬৯, মুশফিক ৪৬, তবুও হারল রাজশাহী
১৭ ডিসেম্বর ২৪ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চিটাংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি একেবারেই। মেয়ার্সের বলে চার মেরে রানের খাতা খোলা নাফে আউট হয়েছেন পরের বলে বোল্ড হয়ে। একটু পর গ্রাহাম ক্লার্ককেও ফিরিয়েছেন মেয়ার্স। ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের বলে শর্ট এক্সট্রা কভারে মালানের দারুণ এক ক্যাচে ফিরেছেন। দলের হাল ধরতে না পেরে সাজঘরে ফিরেছেন মিঠুনও। মোহাম্মদ আলীর বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে হৃদয়কে ক্যাচ দিয়েছেন।
২৪ রানে ৩ উইকেট হারানো চিটাগং পাওয়ার প্লের শেষ ওভারেও উইকেট হারায়। ইবাদত হোসেনের বলে অন সাইডে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন হায়দার আলী। পাওয়ার প্লেতে ৪২ রান করতে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চিটাগং।সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন পারভেজ হোসেন ইমন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৭ রান। পারভেজ ইমনের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি।
রিশাদ হোসেনের উপর চড়াও হতে গিয়ে উইকেট দেন ৩৬ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনার। এদিকে একপ্রান্তে উইকেট পড়লেও আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন শামীম। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আরও বেশি আক্রমণাত্বক হওয়া বাঁহাতি ব্যাটার ফেরেন ৭৯ রানের ইনিংস খেলে। শামীমের এমন ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৪৯ রানের পুঁজি পায় চিটাগং। বরিশালের হয়ে এক ওভারে ৪ উইকেট নেয়া মোহাম্মদ আলী ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
চিটাগং কিংস- ১৪৯/৯ (২০ ওভার) (ইমন ২৬, হায়দার ৭, ক্লার্ক ৬, শামীম ৭৯; মেয়ার্স ২/২৭ আলী ৫/২৪)
ফরচুন বরিশাল- ১৫০/১ (১৭.২ ওভার) (তামিম ২৯, হৃদয় ৮২*, মালান ৩৪*)