বিপিএল মানেই যেন ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না পাওয়া নিয়ে সমস্যা। ২০১২ সালে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ আসরেই প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না পাওয়া নিয়ে। চলমান আসরে সেটার প্রকোপ যেন বেড়েছে। চট্টগ্রামে পা রাখার পর প্রথম দিন অনুশীলন না করে বিশ্রামে ছিলেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। তবে ১৫ জানুয়ারি এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বুধবার সকাল ১০টায় অনুশীলন করার কথা ছিল তাদের।
সকাল ৯ টা ৪৮ মিনিটে অনুশীলন বাতিল করে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়ার কথা জানায় রাজশাহীর মিডিয়া বিভাগ। যদিও একটু পরই মেলে ভিন্ন তথ্য। বিপিএলে ৬ ম্যাচ খেললেও এখনো পারিশ্রমিক বুঝে পাননি দলটির স্থানীয় ক্রিকেটাররা। পরবর্তীতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের হস্তক্ষেপে ২৫ শতাংশ নগদ এবং ২৫ শতাংশের চেক পান তাসকিন আহমেদ-এনামুল হক বিজয়রা।
একই দলের ক্রিকেটার লাহিরু সামারকুন পারিশ্রমিক না পেয়ে বিসিবির কাছে অভিযোগ জানায়। পারিশ্রমিক সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চিটাগং কিংসেরও নাম। একদিন আগে পারিশ্রমিক না পাওয়ায় রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করেন রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা। পরবর্তীতে নিয়ম ভেঙ্গে ১১ জন দেশি ক্রিকেটার নিয়ে একাদশ সাজায় রাজশাহী। মালান জানিয়েছেন, ফরচুন বরিশালে পারিশ্রমিক নিয়ে কোন সমস্যা নেই।
এ প্রসঙ্গে মালান বলেন, ‘আমি নিজের দল নিয়ে শুধু মন্তব্য করতে পারি। আমাদের দল দারুণ। যেখানেই খেলেন না কেন, মৌলিক বিষয়গুলো ঠিকঠাক দেখতে চান সবাই। আমাদের কাজ হচ্ছে খেলা এবং অন্য কারও কাজ আমাদের পারিশ্রমিক দেওয়া। এজন্যই এসব লিগ খেলি আমরা।’
টাকা না থাকলে দলের মালিকানা নিতে বারণ করছেন মালান। বাঁহাতি পেসার মনে করেন, এমনটা করলে পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, ‘আশা করি, সামনে এমন (পারিশ্রমিক সমস্যা) হবে না। এটা নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ। আপনার যদি টাকা থাকে, তাহলে দল নেবেন। টাকা না থাকলে দল নেবেন না। সহজ ব্যাপার। এমনই হওয়া উচিত। এখন পর্যন্ত আমাদের দলের কোনো সমস্যা নেই। আশা করি সামনেও হবে না। তবে হ্যাঁ, এটি এমন ব্যাপার যা চাইলেই খুব সহজে ঠিক করা যায়।’