স্পিন দিয়ে খুলনাকে হারাল রাজশাহী
ছবি: উইকেট পেয়ে সোহাগ গাজীর উল্লাস, ক্রিকফ্রেঞ্জি
বিশেষ করে জিসান আলম, সোহাগ গাজী, বার্লদের স্পিনের সামনে ধরাশায়ী হয়েছেন খুলনার ব্যাটাররা। চার স্পিনার ১৩ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন। তাদের এমন বোলিংয়েই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নিয়েছে বিজয়ের দল। খুলনাকে ২৮ রানে হারিয়ে জয়ে ফিরল রাজশাহী। এর আগে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৭৯ রান তাড়ায় ভালো শুরু করতে পারেনি খুলনা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরেছেন উইলিয়াম বসিস্তো। অফ স্পিনার জিসান আলমের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে তাসকিনের আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। একটু পর ফিরেছেন তিনে নামা মিরাজও। তাসকিনের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন ১ রান করা খুলনার অধিনায়ক।
দ্রুতই ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন নাইম শেখ ও আফিফ হোসেন। দুই বাঁহাতি ব্যাটারকে বিপাকে ফেলতে জিসানের সঙ্গে এসএম মেহেরব ও সোহাগ গাজীকেও বোলিংয়ে আনেন এনামুল হক বিজয়। তাদের বিপক্ষে একেবারেই সফল হতে পারেননি খুলনার ব্যাটাররা। দ্রুত রান তুলতে না পারায় একটা সময় চাপে যান তারা দুজন।
চাপ কাটিয়ে উঠতে সোহাগ গাজীর শর্ট ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে হাসান মুরাদকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৪ রান করা নাইম। নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে আফিফকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন সোহাগ গাজী। বাঁহাতি অফ স্পিনারের বলে ইনসাইড আউট হয়ে খেলতে গিয়ে জিসানকে ক্যাচ দিয়েছেন। আফিফকে ফিরতে হয়েছে ৩৩ রানে। ব্যাটিংয়ে এসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
যদিও তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটারকে ঝড় তুলতে দেননি রায়ান বার্ল। ডানহাতি স্পিনারের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ১৮ রানে। ইমরুল কায়েসও ছিলেন খানিকটা আক্রমণাত্বক। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির ওভারে দুই ছক্কা ও এক চার মারার পরই ফিরে গেছেন ১৭ রান করা ইমরুল। আবু হায়দার রনি, মোহাম্মদ নাওয়াজরাও কিছু করে দেখাতে পারেনি।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রাজশাহীকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন হারিস ও জিসান। তাদের দুজনের জমে ওঠা জুটি ভেঙেছেন নাসুম আহমেদ। বাঁহাতি স্পিনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ২৭ রান করা হারিস। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর উইকেট হারাতে থাকে তারা। তিনে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি বিজয়।
রাজশাহীর অধিনায়ক আউট হয়েছেন নাসুমের বলে ইমরুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। চারে নামা মেহেরব ফিরেছেন মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে। ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রাজশাহী। এমন অবস্থায় জুটি গড়ে তোলেন ইয়াসির ও বার্ল। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৮৮ রান। দুজনেই হাফ সেঞ্চুরির পথে। তবে ৪১ রান করা ইয়াসিরকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি আবু হায়দার।
ডানহাতি পেসারের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। শেষের দিকে ব্যাটিংয়ে এসে ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন আকবর আলী। আরেক ব্যাটার বার্ল অপরাজিত ছিলেন ৪৮ রানের ইনিংস খেলে। শেষ পর্যন্ত তাদের ব্যাটে ১৭৮ রানের পুঁজি পায় রাজশাহী। খুলনার হয়ে নাসুম দুটি এবং মিরাজ, আবু হায়দার এবং নাওয়াজ একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
দুর্বার রাজশাহী- ১৭৮/৫ (২০ ওভার) (হারিস ২৭, জিসান ২৩, ইয়াসির ৪১, বার্ল ৪৮*, আকবর ২১*; নাসুম ২/২০)
খুলনা টাইগার্স- ১৫০/১০ (১৯.৩ ওভার) (বসিস্তো ৬, নাইম ২৩, আফিফ ৩৩. অঙ্কন ১৮, ইমরুল ১৭; বার্ল ২/১৩, তাসকিন ২/৩০, সোহাগ গাজী ২/২৭)