বাউন্ডারির সীমানা আরও বড় করতে বলছেন তামিম

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ
বাউন্ডারির সীমানা আরও বড় করতে বলছেন তামিম
ম্যাচসেরার পুরষ্কার হাতে তামিম ইকবাল, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
বিপিএলের সিলেট পর্বে গতকাল প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড সংখ্যক ছক্কা হয়। সিলেট স্ট্রাইকার্স- রংপুরের রাইডার্সের ম্যাচে সর্বমোট ছক্কা হয় ৩১ টি, যা বিপিএলের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট ম্যাচে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছক্কা। দ্বিতীয় ম্যাচে ছক্কার কোনো রেকর্ড না হলেও প্রায় ১৮০ স্ট্রাইক রেটে খেলে দল জিতিয়েছেন তামিম ইকবাল। ম্যাচ জিতিয়ে এতো ছোটো বাউন্ডারি থাকায় সমালোচনা করেন তামিম।

প্রথম ম্যাচ শেষে অবশ্য এ নিয়ে কোনো কথাই বলেননি কেউ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তামিমের চোখে ধরা পড়ে মাঠের ছোটো বাউন্ডারি। বিপিএলকে 'রান বন্যার টুর্নামেন্ট' বানানোর জন্য সীমানা ছোটো করে দেয়াটা ভালো লাগেনি বরিশালর অধিনায়কের।

ফরচুন বরিশালকে জিতিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘যেভাবে মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে, তা খুব ভালো। আমি যা দেখতে চাই, তা হলো আরও বড় সীমানা। জায়গা যখন আছে, তাহলে ৫৮-৬০ গজের বাউন্ডারিতে আমরা কেন খেলছি, জানি না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৫-৭০ গজের বাউন্ডারি দেখা যায়। তখন বোলারদের জন্য কিছুটা সুযোগ থাকে।’

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সীমানা এমনিতেই খুব বড় নয়। এবারের বিপিএলে সেটি আরও কমিয়ে আনা হয়। এমনকি মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও সীমানা ছোটো করা হয়।

আর তাই এবারের বিপিএলে বেশি বেশি রান হওয়ার এটি একটি বড় কারণ। তামিম অবশ্য উইকেটের প্রশংসা করেছেন। দুর্বার রাজশাহীর ছুঁড়ে দেয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে  ৪৮ বলে ৮৬ রানে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন এই ওপেনার।

কিউরেটরদের ধন্যবাদ দিয়ে তামিম বলেন, ‘উইকেট এবার এত ভালো! কিউরেটরদের অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে। দুর্দান্ত উইকেট তৈরি করেছেন তারা। তবে উইকেট যখন এত ভালো থাকে, তখন সীমানা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি জায়গা থাকে। তাহলে বোলারদের জন্যও সুযোগ থাকে।’

‘এই মুহূর্তে বোলারদের জন্য কিছু নেই। শীর্ষ কর্তারা যারা সিদ্ধান্ত যা গ্রহণ করেন, আমার আশা ও প্রার্থনা, তারা আমার কথা শুনছেন এবং এই বাউন্ডারি আরেকটু পিছিয়ে দেবেন। কারণ জায়গা তো আছেই।’

আরো পড়ুন: তামিম ইকবাল