এর মানে এই না যে প্লেয়াররা পয়সা পাবে না, পারিশ্রমিক নিয়ে ফারুক
ছবি: গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন ফারুক আহমেদ, ক্রিকফ্রেঞ্জি
চুক্তি অনুযায়ী পুরো টাকা না পেয়ে ক্রিকেটারদের অধিকার আদায়ের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (ফিকা) কাছে অভিযোগ করেছিলেন বিদেশিরা। গ্লোবাল সুপার লিগ খেলার সময় টস করতে এসে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে একই অভিযোগ তুলেছিলেন ইমরান তাহির। ২০১৮-১৯ বিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়েও ঝামেলা পড়তে হয়েছিল।
২০১২ বিপিএলে খেলা বিদেশি ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক না পাওয়ায় বিসিবিকে তো মামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল ফিকা। দেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক সমস্যা তো নিত্যদিনের সঙ্গীর মতো হয়ে গেছে। এবার অবশ্য টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই পারিশ্রমিক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী, বিপিএল শুরুর আগে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে তাদের পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ বুঝিয়ে দিতে হবে।
বাকি ৫০ শতাংশের মাঝে ২৫ শতাংশ টুর্নামেন্ট চলাকালীন এবং শেষে কিস্তি বুঝিয়ে দিতে হবে বিপিএল শেষ হতেই। অথচ বিপিএল শুরু হলেও সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির কোন ক্রিকেটারই এখনও তাদের পারিশ্রমিকের এক টাকাও পাননি। উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচ শেষে খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ও স্বীকার করেছিলেন টাকা না পাওয়ার কথা। ফারুক আহমেদ অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা আলাদা পদক্ষেপ নিয়েছি, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বলছি (খেলোয়াড়দের টাকার ব্যাপারে), প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছি। ফ্রাঞ্চাইজিরা যাতে না মনে করে বোর্ডই শুধু দেখবে, ফ্রাঞ্চাইজিরা কিন্তু আমাদের পার্টনার।’
বিপিএল শুরুর আগে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে ব্যাংক গ্যারান্টি নেয়া হয়। কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না দিয়ে চলে গেলে সেখান থেকে সেই টাকা দিয়ে দেয় দেশের ক্রিকেট বোর্ড। অথচ ফরচুন বরিশাল ছাড়া বাকি কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি এখন পর্যন্ত সেই টাকা জমা দেয়নি। যদিও ফারুক জানান, এর মানে এই না যে খেলোয়াড়রা পয়সা পাবে না।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আসলে আপনি যদি একদম ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট চিন্তা করেন, এটা নয় কেন, এই উত্তর কিন্তু আমি এক কথায় দিতে পারব না। এর মানে এই না যে প্লেয়াররা পয়সা পাবে না। গত চার মাসের পরিস্থিতি দেখতে হবে।’