খুলনার ক্ষেত্রে ঘটেছে ঠিক উল্টো। প্রথম রাউন্ডে বরিশালকে ৭ উইকেটে হারানো খুলনা দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরেছে রাজশাহীর কাছে। সিলেটে এখনো লিড নিতে না পারলেও ঢাকার বিপক্ষে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন মুশফিকুর রহিম। ৭ উইকেটে ২৬০ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করার সময় ৯৩ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিক। এখনো ঢাকার চেয়ে ৫০ রানে পিছিয়ে সিলেট। এদিকে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে কক্সবাজারে দুই ম্যাচের একটিরও দ্বিতীয় দিনের খেলা মাঠে গড়ায়নি।
খুলনাকে উড়িয়ে রাজশাহীর জয়
এক উইকেটে ৬৮ রান নিয়ে মিরপুরে তৃতীয় দিনের সকালে ব্যাটিংয়ে নামেন বিজয় ও অমিত। তবে তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছে দ্রুতই। ৩৪ রান করে আউট হয়েছেন বিজয়। পরবর্তীতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। খুলনা শেষ পর্যন্ত অল আউট হয়েছে ২৫৫ রানে। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন মিরাজ। এ ছাড়া অমিত, ইয়াসিন ও জিয়াউর তিনজনই ৩২ রান করেছেন।
বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান। রাজশাহীর হয়ে নাহিদ রানা তিনটি এবং এসএম মেহেরব ও সানজামুল ইসলাম দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন। ১০৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৩ উইকেট হারিয়েই জিতে যায় রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান। এ ছাড়া সাব্বির হোসেন ২৫ রান করেছেন। খুলনার হয়ে ইয়াসিন দুইটি এবং নাহিদুল পেয়েছেন একটি উইকেট।
সিলেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিক
ঢাকা বিভাগকে ৩১০ রানে অল আউট করে দ্বিতীয় দিনের বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলেছিলেন সিলেটের জাকির হাসান ও সৈকত আলী। তারা দুজনে মিলে সকালটাও বেশ ভালোভাবে সামলেছেন। তাদের দুজনের ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন নাজমুল ইসলাম অপু। বাঁহাতি স্পিনারের বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৮ বলে ৪৩ রান করা জাকির। একটু পর আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার সৈকতও। ৯৩ বলে ২৭ রান করেছেন তিনি।
চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অমিত হাসানও। ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটার ফিরেছেন ৩ রানে। একশর আগে ফিরে গেছেন মিজানুর রহমানও। ৩৩ বলে ১২ রান করেছেন তিনি। আসাদুল্লা আল গালিব আউট হয়েছেন ১৩ রানে। দ্রুতই কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। ১১৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর সাহানুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন মুশফিক। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ১১১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
৮৮ বলে ৩০ রান করা সাহানুর আউট হলে ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি। পরবর্তীতে তোফায়েল আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে সিলেটকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। যদিও তাদের দুজনের জুটি খুব বেশি বড় হয়নি। শেষ বিকেলে ২৭ রানে আউট হয়েছেন তোফায়েল। ইবাদত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছেন ৯৩ রান করা মুশফিক। ঢাকার হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন রিপন মণ্ডল, নাজমুল অপু এবং আনামুল হক।