টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালের ওপেনারদের অবশ্য বিপদে ফেলেন নাসির হোসেন। ইফতিখার হোসেন ইফতি এবং রাফসান আল মাহমুদকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আউট হন চার রান করা ইফতি।
আর ১৮ বলে ১৯ রান করা রাফসান হন বোল্ড। দশম ওভারে সালমান হোসেন ইমনকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন আবু হাসিম। দলীয় ৫৩ রানে ব্যক্তিগত চার রান করা সালমান ফিরে যাওয়ার পর থেকেই মূল ধ্বস নামে।
২৫ বলে তিন ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করা ফাজলে রাব্বিকে বোল্ড করে বিদায় করেন আব্দুল গাফফার সাকলাইন। তারপর আলাউদ্দিনের দাপটে দাঁড়াতে পারেননি বরিশালের কোনো ব্যাটার।
সোহাগ গাজী ১৬ বলে ১৩ করে ফিরে যান আলাউদ্দিনের বলেই। উইকেটরক্ষক জাহিদুজ্জামান খান ১৮ বলে ২২ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। দলটি থাকে ১০৬ রানে। রংপুরের হয়ে ১৬ রান খরচায় দুই উইকেট নেন নাসির। একটি করে উইকেট নেন মুশফিক হাসান, হাসিম এবং সাকলাইন।
১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে'র মাঝে দুই উইকেট হারায় রংপুর। তিন বলে চার রান করা তানভির হায়দারকে বোল্ড করে ফেরান তানভির ইসলাম। পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে ফিরে যান ১৮ বলে ২৪ রান তোলা আব্দুল্লাহ আল মামুনও।
অধিনায়ক আকবর আলী এ দিন সুবিধা করতে পারেননি। তানভিরের বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেয়ার আগে করেন ১৫ বলে ১৭ রান। বল হাতে পাঁচ উইকেট পেলেও ব্যাট হাতে ডাক মারেন আলাউদ্দিন। আকবর ফেরার পরের বলেই কট এন্ড বোল্ড হন তিনি।
অপরপ্রান্তে দাঁড়ানো ওপেনার অনিক অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ৩৫ বলে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৫৪ রান আসে তার ব্যাটে। সঙ্গে ৯ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির।