চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শান্তর কাছে বাংলাদেশও ফেবারিট

ছবি: ভারত ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী নাজমুল হোসেন শান্ত,

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে কঠিন গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, স্বাগতিক পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এমন কঠিন গ্রুপে থাকা টাইগারদের চেয়ে আফগানিস্তানকে এগিয়ে রেখেছেন রিকি পন্টিং। সাউথ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স তো শান্তদের নক আউট পর্বে যাওয়ার মতো দলই মনে করছেন না। ভারতের সাবেক স্পিনার মুরালি কার্তিক অবশ্য বাংলাদেশকে ডার্কহর্স মনে করছেন। যদিও বাস্তবতা একেবারে ভিন্ন।
মুশফিকের বিদায়ে সতীর্থরা যা বললেন
৬ মার্চ ২৫
সাম্প্রতিক সময়ে দল হিসেবে ছন্দে নেই বাংলাদেশ। নিজেদের সবশেষ দুই ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজরা। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বিপিএল হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতিটাও ঠিকঠাক হয়নি টাইগারদের। বাংলাদেশকে টপ ফেবারিট মনে না করলেও শান্ত মনে করেন, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ খুবই ব্যালেন্সড দল।
এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘এই সংস্করণে যদি আমাদের দিকে তাকান তাহলে আমাদের দলটা ব্যালেন্সড। আমরা বিশ্বাস করি এই টুর্নামেন্টে আমরা যেকোন দলকে হারাতে পারি। সব দলই শিরোপা জেতার সামর্থ্য রাখে। কিন্তু আমি এমন একজন নই যে কিনা প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব বেশি ভাবে। আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমরা যেকোন দিন যেকোন দলকে হারাতে পারি।’

২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষেও খেলতে হবে তাদের। কঠিন তিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিজেদের অতীত স্মৃতির কথা মনে করিয়েছেন শান্ত। ২০২২ সালে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজকেও সামনে এনেছেন তিনি। যদিও অতীতকে আঁকড়ে ধরে না থেকে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযযোগী বাংলাদেশের অধিনায়ক।
কলকাতার নতুন সহকারী কোচ গিবসন
৮ মার্চ ২৫
শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই, আপনি যদি খেয়াল করেন তাহলে ৮টা দলই ভালো মানের। ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভালো স্মৃতি আছে, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বেশ কিছু ম্যাচও জিতেছি। গত বছর (মূলত ২০২২) যখন ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে খেলেছি সেটাতে আমাদের ভালো স্মৃতি আছে। কিন্তু এটা এখন অতীত হয়ে গেছে। আগামীকাল আমরা যদি ভালো খেলতে পারি এবং আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে ভালো একটা ম্যাচ হবে।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে আন্তঃস্কোয়াড প্রস্তুতি ম্যাচে ৪৮ ওভারে ৩৯৬ রান করেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিমরা। অথচ পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে হওয়া প্রস্তুতি ম্যাচে ২০২ রানের বেশি করতে পারেননি তারা। মোহাম্মদ হারিসের দলের কাছে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে ৭ উইকেটে। প্রস্তুতি ম্যাচে হারলেও সেটার প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন শান্ত।
বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘অনুশীলন ম্যাচে হারা নিয়ে যেটা বললেন সেটা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। অনুশীলন ম্যাচে সবাইকেই বোলিং বা ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়েছি। ইনজেনারেল অনুশীলনের জন্যই করা। এই হার মনে হয় না খুব একটা প্রভাব ফেলবে।’