সকালে দিনের দ্বিতীয় ওভারে ম্যাথু হামপ্রেইসকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তাইজুল ইসলাম। তারপরের ওভারে ব্যারি ম্যাকার্থীকে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। ৬৪ বলে ৩১ রান করে হাসানের লেংথ ডেলিভারিতে ফিরে যান ম্যাকার্থী। ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের শুরুটা দারুণ সতর্কভাবে শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ও জয়। দুজনই বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলে গেছেন। শুরুতে পেসারদের পাশাপাশি স্পিনারদেরও বোলিংয়ে আনে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু সফলতার মুখ দেখতে পারেনি তারা।
দেখেশুনে খেলতে খেলতে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যান সাদমান। ৪৯ বলে ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ২০.৪ ওভারে দলীয় শতক পূরণ করে বাংলাদেশ। একইসাথে ওপেনিং জুটিরও সেঞ্চুরি হয়। এর একটু পরই (৭২ বলে) হাফ সেঞ্চুরি করেন জয়। লাঞ্চ থেকে ফিরে ওপেনিং জুটিতে দেড়শ রান পার করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। ৩৬ ওভারে আসে ১৫০ রান।
তবে ৪২তম ওভারের প্রথম বলে ফিরে যান সাদমান, ভাঙে ১৬৮ রানের জুটি ওভার দ্যা উইকেট থেকে করা ম্যাথু হামপ্রেইসের নিচু হওয়া ডেলিভারিটি সাদমানের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের মুঠোয় চলে যায়। শুরুতে আউট না দিলেও আয়ারল্যান্ড রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন আম্পায়ার। ফেরার আগে ১০৪ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ৮০ রান করেন সাদমান। চা-বিরতির পর ৫৫.৪ ওভারে দলীয় দুইশ স্পর্শ করে বাংলাদেশ। একটু পরই ১৯০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন জয়। টেস্টে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
জর্দান নেইলের বলে চার হাঁকিয়ে কাঙ্খিত সেঞ্চুরি পান জয়। অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইনকে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে ৭৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল হক। জয়কে সঙ্গে নিয়ে একশ রানের জুটি গড়েন তিনিও। ১৮৯ বলে জুটির সেঞ্চুরি পূরণ করেন জয় এবং মুমিনুল। দুজনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৭৬তম ওভারে লিডের দেখা পায় বাংলাদেশ।
৭৮.৫ ওভারে দলীয় তিনশ রানের দেখা পায় বাংলাদেশ। এর একটু পরই (২৬৫ বলে) ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দেড়শ রান স্পর্শ করেন জয়। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ছক্কা হাঁকিয়ে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। জয়-মুমিনুলের দাপটেই শেষ হয় দিন। জয়ের ইনিংসে আছে ১৪টি চার ও চারটি ছক্কার মার। মুমিনুলের ইনিংস সাজান পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায়।