৩-০ তে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ, বিশ্বাস মুশতাকের

বাংলাদেশ
৩-০ তে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ, বিশ্বাস মুশতাকের
ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
মিরপুরের কালো মাটির উইকেটে ২০৭ রান করেও প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে এমন জয়ের পর সিরিজ জেতার স্বপ্নও দেখছে স্বাগতিকরা। মুশতাক আহমেদের বিশ্বাস, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ। কোচ হিসেবে ক্রিকেটারদের উপর বিশ্বাসও রাখতে চান বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ।

সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স পুরোপুরি বাংলাদেশের বিপক্ষে। আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান— সবশেষ চার ওয়ানডে সিরিজের সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। কদিন আগে আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে আবুধাবি থেকে দেশে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে শেষ ১২ ওয়ানডের মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

৫০ ওভারের ক্রিকেটে রীতিমতো দিশা খুঁজে পাচ্ছিলেন না মিরাজ-নাজমুল হোসেন শান্তরা। তবে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছন্দ খুঁজে পেয়েছে এবং ম্যাচও জিতে নিয়েছে। মিরপুরের চিরচেনা স্পিন নির্ভর উইকেটে সফরকারীদের ৭৪ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ২১ অক্টোবর, একই ভেন্যুতে। সবশেষ চার সিরিজের একটিতেও জিততে না পারা বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করার।

যদিও কাজটা একেবারে সহজ হবে না তাদের জন্য। সাম্প্রতিক ওয়ানডে পারফরম্যান্সের সঙ্গে মিরপুরের রেকর্ডও পক্ষে কথা বলছে না। মিরপুর খেলা সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। যদিও ক্রিকেটারদের উপর বিশ্বাস রাখতে চান মুশতাক। বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ জানান, বাংলাদেশকে যে কাউকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।

মুশতাক বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ (৩-০ তে বাংলাদেশ সিরিজ জিতবে)। কোচ হিসেবে আমরা ছেলেদের নিজেদের উপর বিশ্বাস রেখে সাহায্য করার চেষ্টা করি। বিশ্বাস সবকিছুর মূল। আমার নিজের যদি বিশ্বাস না থাকে তাহলে খেলোয়াড়রা আমার কথা গ্রহণ করবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হচ্ছে টেম্পারমেন্ট এবং বিশ্বাসের বিষয়। বাংলাদেশে প্রতিভাভান খেলোয়াড় আছে এবং তারা যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। আমাদের এই বিশ্বাস রাখতে হবে।’

মিরপুরের স্পিন নির্ভর উইকেট নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় পিচ কিউরেটর গামিনী ডি সিলভাকে সরিয়ে দিয়েছে বিসিবি। লঙ্কান কিউরেটরের জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে টনি হেমিংকে। অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর দায়িত্ব নেয়ায় সবার প্রত্যাশা ছিল স্পোর্টিং উইকেটের। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে এমন কিছু দেখা যায়নি। কালো মাটির উইকেটে পুরনো সেই স্পিন নির্ভরতা দেখা গেছে।

উইকেট নিয়ে সমালোচনা হলেও মুশতাক সেটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিলেন না। ১৯৯৯ সালে দিল্লিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। সেই উদাহরণ টেনে মুশতাক জানালেন, মিরপুরের উইকেট দিল্লির ওই উইকেটের চেয়ে ভালো। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার মনে আছে। দিল্লিতে আমরা ভারতের বিপক্ষে একটা ম্যাচ খেলেছিলাম ওই ম্যাচে অনিল কুম্বলে এক ইনিংসে ১০ উইকেট পেয়েছিল। সেই উইকেট এর থেকেও খারাপ ছিল।’

আরো পড়ুন: মুশতাক আহমেদ