আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ১০৯ রান তোলেন তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। তবে তাদের দুজনের জুটি ভাঙলে ব্যাটিং ধস নামে বাংলাদেশের। ইমনের পর দ্রুতই ফেরেন সাইফ হাসানও। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরান রশিদ খান। জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারির ক্ষেত্রে অবশ্য ঘটেছে একেবারে উল্টো ঘটনা।
রশিদের গুগলিতে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন জাকের। স্টাম্প বরাবর ডেলিভারি হওয়ার পরও রিভিউ নেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। একইভাবে আউট হয়েছেন শামীমও। বাঁহাতি ব্যাটারও জাকেরের মতো রিভিউ নেন। তাকেও আউট হয়েই ফিরতে হয়। নূর আহমেদের বলে সুইপ করতে চেয়েও পারেননি তানজিম সাকিব।
বল প্যাডে লাগতেই আউট দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিতে চাইলেও সেটা পারেননি তিনি। কারণ আগেই দুইটা রিভিউ নষ্ট করেছেন জাকের ও শামীম। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল প্যাডে লাগার আগে তা তানজিমের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। অর্থাৎ রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এমন অবস্থায় ৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। রিভিউ না থাকায় তানজিম আউট হলে ফেসবুকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাটারদের সমালোচনা করেন নাসির।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরা হয়ে সেই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। নাসির বলেন, ‘বাংলাদেশের খেলার ব্যাপারে আমি শুধু একটা জিনিসই বলবো আমরা যেসব রিভিউ নিয়েছি— একজন ব্যাটার হিসেবে আমার বোঝা উচিত এটা কতটা ক্লোজ। যদি দেখেন যারা আউট হয়েছে তারাই রিভিউ নিয়েছে এবং আউটগুলো...। আপনি রিভিউ নিতে পারেন ইনসাইড এজ হয়েছে...কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আম্পায়ারের পক্ষে যায়।’
‘আমরা হয়তবা একটু অতিরিক্ত রিভিউ নিয়ে ফেলছি। যদি দেখেন পরে কিন্তু সাকিবেরটা ব্যাটে লেগেছে, আমরা দেখেছি। আমি একটা স্ট্যাটাসও দিয়েছি। এজন্য আমার কাছে মনে হয় নন স্ট্রাইকের ব্যাটারের সাথে কথা বলে রিভিউ নেয়া উচিত। কারণ সাকিবের উইকেটটা ওই সময় গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
একটা সময় মি. ফিনিশার হিসেবে পরিচিত ছিলেন নাসির। লম্বা সময় খেলেছেন জাতীয় দলেও। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাল সবুজের জার্সিতে সুযোগ হচ্ছে না বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারের। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে আবারও ফিরেছেন তিনি। ডিপিএলের পর এবার খেলছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে। নিজে খেলার মধ্যে থাকলেও সুযোগ পেলেই টিভিতে বসে নিয়মিতই বাংলাদেশের খেলা দেখছেন নাসির। ক্রিকেটাররা নিয়মিত বেসিক ভুল করায় খারাপও লাগছে তাঁর।
নাসির বলেন, ‘বিরক্ত লাগে না। আসলে আপনাকে তো একটা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে হবে। আপনি পরিকল্পনার মধ্যে থাকলে আপনি ভুল করতে পারেন তখন সেটা মেনে নিতে পারবেন। কিন্তু বেসিক যেসব জিনিস থাকে এসবে যদি ভুল করি তাহলে খারাপ লাগে। এই পর্যায়ে ছোট ছোট বেসিক জিনিসগুলো যদি আমরা ভুল করি তখন টিভির সামনে বসে দেখলে একটু খারাপ লাগে আরকি।’