ম্যাচে বল হাতে সবচেয়ে বড় প্রভাব রাখেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে চাপে ফেলেন তিনি। পরে আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকেও ফিরিয়ে দেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে।
ম্যাচ শেষে নান্নু বলেন, 'অবশ্যই এই ধরনের একটা জয় তো এশিয়া কাপে খুব জরুরি দরকার ছিল... একটা পথ দেখা যাচ্ছে। আশা করি ১৮ তারিখের একটা ফলাফল দেখে আমরা সেকেন্ড রাউন্ডে গিয়ে ভালো ক্রিকেটটা খেলার জন্য একটা সাহস জোগাবে।'
'এখানে সবার অবদান সমান। এখানে কাউকে, এটা টোটাল টিম এফোর্ট এবং টিম পারফরম্যান্স। এবং আমি মনে করি যে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে, এখন অপেক্ষায় আছি যদি সেকেন্ড রাউন্ডে যাই, ইনশাআল্লাহ এই এভাবে খেলতে থাকলে পরের রাউন্ডে ভালো খেলবে।'
চার ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন নাসুম। তার পাশাপাশি রিশাদ হোসেনও দুটি উইকেট নেন। দুই স্পিনারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তান অলআউট হয় ১৪৬ রানে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার। তানজিদ হাসান তামিম করেন ৩১ বলে ৫২ রান, সাইফ হাসান করেন ২৮ বলে ৩০। তবে মাঝের ও শেষের ব্যাটসম্যানরা ছন্দ ধরে রাখতে না পারায় দলীয় সংগ্রহ থামে ১৫৪ রানে।
নান্নু মনে করেন, শুরুতে নেওয়া দুটি উইকেট এবং কিপটে বোলিং ছিল ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত, 'ম্যাচটার টার্নিং পয়েন্ট তো ওই জায়গায়... এটা টোটাল টিম এফোর্ট এবং টিম পারফরম্যান্স।'
টিম কম্বিনেশন নিয়েও নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সাবেক প্রধান নির্বাচক, 'টিমে যে ১৫ জন আছে ওরা সবাই ক্যাপেবল... যাকে যখন দিয়েছে ওর কাজটা ও করেছে। আমি সবকিছু মিলিয়ে বলব যে জয়টাকে জয়ের মতোই দেখি এবং ইনশাআল্লাহ এখন সুপার ফোরের ম্যাচগুলি দেখার অপেক্ষায় আছি।'