আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৩ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরে জাকের আলী অনিকের ৩৪ বলে অপরাজিত ৪১ এবং শামীম পাটোয়ারির সমান বলে অপরাজিত ৪২ বলে পাঁচ উইকেটে ১৩৯ রান তোলে বাংলাদেশ।
এই লক্ষ্য তাড়া করতে শ্রীলঙ্কা নেয় ১৪.৪ ওভার। পাথুম নিশাঙ্কার ৩৪ বলে অপরাজিত ৫০ এবং কামিল মিশারার ৩২ বলে অপরাজিত ৪৬ রানের কল্যাণে সহজেই লক্ষ্য তাড়া করে শ্রীলঙ্কা। কার্তিকের প্রত্যাশা ছিল দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচ অন্তত ৩৯ ওভার পর্যন্ত যাবে, যা হয়নি।
সমালোচনা করে কার্তিক বলেন, 'আমি ভেবেছিলাম এটা ৩৯তম ওভার (২ ইনিংস মিলে) পর্যন্ত যাওয়া উচিত। এরকম একটা দ্বৈরথ তারা তৈরি করেছে। কিন্তু একেবারে একপেশে একটা ম্যাচ হলো। দ্বিতীয় ইনিংসের খেলাটা দেখলেই বুঝতে পারবেন ম্যাচটা কেমন হয়েছে।'
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অতিরিক্ত শর্ট বলই ম্যাচ হারিয়েছে বলে মনে করেন কার্তিক। বিশেষ করে রিশাদের পারফরম্যান্সে বিরক্ত হয়েছেন তিনি। ফুলার লেংথে বল ছাড়লে আরো ভালো ফলাফল আসতো বলে মনে করেন তিনি।
কার্তিক আরো বলেন, 'রিশাদের জন্য আজকে এমন একটা দিন ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল সে ঠিকঠাকভাবে বলই ফেলতে পারছে না। রিশাদ অনেক বেশি শর্ট বল করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা যে ধরনের শর্ট বল দেখি এমন কিছু ছিল না। শর্ট বল নিয়ে কিছু পারসেপশন আছে। তবে আপনি দেখলেই বুঝতে পারবেন সে আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে তলানিতে ছিল।'
'আমি যদি (অধিনায়ক হতাম)... আমি বোলারদের বলতাম একটু ফুলার লেংথে বোলিং করতে। তারা অনেক শর্ট বল করেছে। যখন বাতাস আছে উইকেটেও হেল্প আছে তখন এসবের তো দরকার নেই। ঠিকঠাক লেংথে বোলিং করো ব্যাটারদের সামনে খেলতে দাও। শ্রীলঙ্কা তো এটাই করেছে।'
বাংলাদেশের দুই ওপেনার এ দিন শুন্য রানে ফিরে গেছেন। তানজিদ হাসান তামিম নুয়ান থুসারার বলে বোল্ড হন, আর পারভেজ হোসেন ইমন দুশমন্থ চামিরার বলে কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
তাদের সমালোচনায় কার্তিক আরো বলেন, 'বাংলাদেশের উন্নতি করার জন্য বেশ কিছু জায়গা আছে। তাদের ওপেনারদের শট মেকিংয়ে দূর্বল মনে হয়েছে। তাদের পেসাররা প্রথম স্পেলে অনেক শর্ট বল করেছে। স্পিনাররাও আত্মবিশ্বাসী ছিল না। দেখে মনে হয়েছে তারা এমন একটা দল যেটা জোর করে বানানো হয়েছে। সেটার জন্য আসেনি যেটা তারা করতে চায়। এমন মনে হয়েছে তারা যেটা করতে চায় তাদের কাছে সেটার মেথড নেই। বাংলাদেশের যে ফর্ম ছিল সেদিক থেকে খুবই হতাশার।'
'আমি ভেবে নিতেই পারি এটা বাংলাদেশের একটা বাজে দিন। দেখুন- বাজে দিনেরও একটা ব্যাপার থাকে। তারা যেভাবে ব্যাটিং এবং বোলিং করেছে সেটা দেখে কখনো মনে হয়নি তারা ম্যাচে আছে।'