বিভিন্ন দেশের ১১টি দলকে অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে অনুষ্ঠিত হবে টপ অ্যান্ড টি–টোয়েন্টি। বাংলাদেশ ‘এ’ দল ছাড়াও টপ অ্যান্ড টি–টোয়েন্টিতে খেলবে পাকিস্তান শাহীনস, নেপাল, দ্য কিংসমেন, অ্যাসিটি কমেট, অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স, হোবার্ট হারিকেন্স, মেলবোর্ন রেনেগেডস, মেলবোর্ন স্টারস, পার্থ স্কচার্স। যদিও সবার সঙ্গে সবার খেলার সুযোগ নেই। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দলই ৬টি করে ম্যাচ খেলবে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা খেলার সুযোগ পাচ্ছে পাকিস্তান শাহীনস, নেপাল, পার্থ স্কচার্স, নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইক, মেলবোর্ন স্টারস এবং অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। উদ্বোধনী দিনেই পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে খেলবেন সোহানরা। বাংলাদেশের অধিনায়ক জানান, এ বছরের দলগুলো বেশ ভালো। গতবার ফাইনাল খেলায় এবারও বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে সোহান বলেন, ‘অবশ্যই, দেখুন—আমরা একটা ভালো টুর্নামেন্টে যাচ্ছি এবং যেটা বললাম আমি যতটুকু পড়াশোনা করেছি এবছরের দলগুলো খুবই ভালো। অবশ্যই, আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ এবং আমরা চাইব যাতে ফাইনাল খেলতে পারি ইনশাআল্লাহ।’
জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে মূলত ‘এ’ সাজানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটা কথা প্রচলিত আছে আমরা শিখছি, শেখার চেষ্টা করছি। জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হতে পারে শেখার একটা মঞ্চ। যদিও সোহান জানান, তিনি এসব শেখার প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করেন না। বাংলাদেশের অধিনায়কের মতে, যেহেতু টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে তাই সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত ফাইনাল খেলা।
সোহান বলেন, ‘অবশ্যই, আমার কাছে মনে হয় লার্নিং প্রসেস জিনিসটা আমি খুব একটা বিশ্বাস করি না। কারণ আমরা শিখতেই আছি। অবশ্যই, শিখব—এটা জীবনের অংশ। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত—যেহেতু একটা টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি ফাইনাল খেলব। আমার মনে হয় প্রতিটা খেলোয়াড় এবং আমাদের যারা টিম ম্যানেজমেন্ট আছে তাদের সবারই লক্ষ্য ট্রফির দিকে।
অধিনায়ক হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকায় সোহান আছেন এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াডেও। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করার পরও এশিয়া কাপে সুযোগ পাবেন কিনা সেটার নিশ্চয়তা নেই। আপাতত ওইসব চিন্তা না করে টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফোকাস করতে চান তিনি। সেই সঙ্গে সোহান জানান, তাঁর কাজ হচ্ছে মাঠে পারফর্ম করা।
তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ওইভাবে চিন্তা করি না। আমার কাছে মনে হয় সামনে যেটা থাকে, ওইটাই ফোকাস করতে চাই। যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটা খেলতে যাচ্ছি, আমার কাছে পুরো লক্ষ্যটা এখানেই এবং যেটা বললাম আমার কাজটা হচ্ছে মাঠে পারফর্ম করা বা খেলা। অবশ্যই নিজের জায়গা থেকে শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করি— কোনো সময় হয় আবার কোনো সময় হয় না। একই সঙ্গে আমার কাছে মনে হয় এটা হচ্ছে তাদের চিন্তার বিষয়। কিন্তু আমার লক্ষ্যের পুরোটাই এই টুর্নামেন্ট ঘিরেই।’