৩ মাস পর ক্রিকেটে ফিরবেন তামিম

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

অস্ত্রোপচারের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর বলেছিলেন, স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে তামিমের। তবে মাঠের ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কিনা সেটার নিশ্চয়তা নেই পুরোপুরিভাবে। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেট ছাড়ার আগে আরো একটি মৌসুম খেলার স্বপ্ন বুনছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। সেটার জন্য জোর চেষ্টাও চালাচ্ছেন তিনি।
হৃদয়ের শাস্তি আরেক দফা পাল্টাল বিসিবি
৬ ঘন্টা আগে
উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তামিম। সেই সময় এক কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সাবেক বাঁহাতি এই ওপেনার। যদিও সেই কার্ডিওলজিস্ট তাকে মাঠে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী করতে পারেননি। তবে হাল না ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের দুজন স্পোর্টস কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গেও কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন তামিম।

যতটুকু জানা গেছে, আগামী কয়েকদিনের মাঝে ইংল্যান্ডের কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গে দেখাও করতে যাবেন তিনি। ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগেই মিরপুরে তামিম আশার কথা শুনিয়ে গেছেন। বাঁহাতি এই ওপেনার জানান, শারীরিকভাবে তিনি ভালো আছেন। তামিম বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে খুবই ভালো আছি। সবাইকে ধন্যবাদ আমার জন্য দোয়া করার জন্য। তিনমাস পর ইনশাল্লাহ (ফিরবো)।’
রিশাদের লাহোরকে হেসেখেলে হারাল বাবরের পেশাওয়ার
২৫ এপ্রিল ২৫
চলতি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেয়া তামিম ডিপিএল খেলার সময় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। গত ২৪ মার্চ বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে স্বাভাবিক দিনের মতোই মোহামেডানের অধিনায়ক হিসেবে টস করে ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তামিম। তবে ফিল্ডিং করার এক পর্যায়ে বুকে ব্যথা অনুভব করায় মাঠ থেকে বেরিয়ে ড্রেসিং রুমে চলে যান বাঁহাতি ওপেনার।
পরবর্তীতে বিকেএসপির অদূরে সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে গিয়ে ইসিজি ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান মোহামেডানের অধিনায়ক। কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও ঢাকায় ফেরার উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার কল করে বিকেএসপি ফিরে যান তামিম। তবে ঢাকায় ফেরার জন্য হেলিকপ্টারে উঠতে যাওয়ার আগে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি।
ফলে দ্রুততার সঙ্গে আবারও সেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলা তামিমকে ‘সিপিআর’ দেয়ার পাশাপশি ‘ডিসি শক’ দেয়া হয়। এনজিওগ্রাম করানোর পর ‘লেফট এন্টেরিয়র ডিসেন্ডিং আর্টারি’তে শতভাগ ব্লক ধরা পড়লে রিং পরানো হয়। পরবর্তীতে বেশ কয়েকদিন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। ক্রমশই অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ২৮ মার্চ বাসায় ফেরেন মোহামেডানের অধিনায়ক।