শ্রীলঙ্কা - নিউজিল্যান্ড সিরিজ

করুনারত্নে-চান্দিমালের হাফ সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে শ্রীলঙ্কা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:44 শুক্রবার, 20 সেপ্টেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

প্রবাথ জয়াসুরিয়া, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা এবং রমেশ মেন্ডিস; তিন স্পিনার মিলে ফেরালেন নিউজিল্যান্ডের নয় ব্যাটারকে। তাদের এমন বোলিংয়ের পরও প্রথম ইনিংসে কিউইদের চেয়ে ৩৫ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা। তবে দৃশ্যপট একদমই বদলে গেল দিমুথ করুনারত্নে এবং দীনেশ চান্দিমালের ব্যাটে। ছন্দের খোঁজে থাকা করুনারত্নে ফিরলেন ৮৩ রানে। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার চান্দিমালের ব্যাট থেকে এলো ৬১ রান। তাদের দুজনের এমন ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ২০২ রানে এগিয়ে লঙ্কানরা। শেষ বিকেলে ধনাঞ্জয়া এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ব্যাটে গলে বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে স্বাগতিকরা।

গলে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ৩৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নামে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে থিতু হয়ে বড় রান করতে না পারা পাথুম নিশানকা এবার ফিরেছেন দ্রুতই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইলিয়াম ও’রুর্কির বলে টিম সাউদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ২ রান করা নিশানকা। ডানহাতি ওপেনার ফেরার পর স্বাগতিকদের পথ দেখিয়েছেন করুনারত্নে ও চান্দিমাল। তাদের দুজনের ব্যাটেই মূলত ঘুরি দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা।

বেশ কিছুদিন ধরে নিয়মিত রান করতে পারছেন না করুনারত্নে। লঙ্কানদের সাবেক অধিনায়ক অবশ্য দলের প্রয়োজনে গলে জ্বলে উঠেছেন আশার প্রদীপ হয়ে। দ্বিতীয় সেশনে বাঁহাতি ওপেনারের সঙ্গে দেখেশুনে ব্যাটিং করে গেছেন চান্দিমাল। তাতে দুজনেই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। করুনারত্নে ৭৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেলেও চান্দিমালের পঞ্চাশ ছুঁতে খেলতে হয়েছে ১০৪ বল। তাদের দুজনের জমে ওঠা ১৪৭ রানের জুটি ভেঙেছেন এজাজ প্যাটেল।

বাঁহাতি স্পিনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ৮৩ রানের ইনিংস খেলা করুনারত্নে। পরের ওভারে আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান চান্দিমালকে ফিরিয়েছেন ও’রুর্কি। কিউই পেসারের বলে টম লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৬১ রানের ইনিংস খেলা লঙ্কান এই ব্যাটার। একটু পর ফিরেছেন দারুণ ছন্দে থাকা কামিন্দু মেন্ডিসও। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মেন্ডিসকে নিজের শিকার বানিয়েছেন ও’রুর্কি।

ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে খেলতে গিয়ে স্লিপে থাকা ড্যারিল মিচেলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। মেন্ডিসকে দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরতে হয়েছে ১৩ রানে। দ্রুতই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তবে খুব বেশি চাপে পড়তে দেননি ধনাঞ্জয়া ও ম্যাথিউস। সাবধানী ব্যাটিংয়ে তারা দুজনে মিলে শেষ বিকেলটা স্বাচ্ছন্দ্যে কাটিয়ে দিয়েছেন। দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৩৭ রান। এদিকে স্বাচ্ছন্দ্যে শেষ বিকেলে কাটিয়ে দেয়া ধনাঞ্জয়া এবং ম্যাথিউস দুজনই অপরাজিত আছেন ৩৪ রানে।

এর আগে ৪ উইকেটে ২৫৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা সকালের এক সেশনও টিকতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। দিনের চতুর্থ ওভারে টম ব্লান্ডেলকে ধনাঞ্জয়ার হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন জয়াসুরিয়া। ৭২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা মিচেলকে সাজঘরের পথে হাঁটতে হয়েছে রান আউটে কাটা পড়ে। একই ওভারে বাঁহাতি স্পিনার জয়াসুরিয়াকে উইকেট দিয়ে গেছেন মিচেল স্যান্টনার। অধিনায়ক সাউদি ফিরেছেন দলের রান তিনশ হওয়ার আগেই।

এজাজও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। মেন্ডিসের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। সবার আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন গ্লেন ফিলিপস। শেষ উইকেটে ও’রুর্কিকে সঙ্গে নিয়ে ৩৬ রানের জুটি গড়ে সফরকারীদের ৩৫ রানের লিড এনে দিয়েছেন। কিউইরা ৩৪০ রানে গুটিয়ে গেলেও ফিলিপস অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রানের ইনিংস খেলে। শ্রীলঙ্কার হয়ে জয়াসুরিয়া চারটি, রমেশ মেন্ডিস তিনটি এবং ধনাঞ্জয়া নিয়েছেন দুটি উইকেট।