নাজমুল হোসেন শান্ত চোটে পড়ায় গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মিরাজ। ওই সফরে ক্যারিবীয়দের কাছে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। কয়েকমাস পর চলতি বছরের জুনে শান্তকে সরিয়ে মিরাজকে ওয়ানডে অধিনায়ক করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অধিনায়কের হিসেবে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি তাঁর। শ্রীলঙ্কা সফরে হারতে হয় ২-১ ব্যবধানে।
মিরাজের কপালটা সবচেয়ে বেশি পুড়েছে আফগানিস্তান সফরে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া সিরিজে আফগানদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। রশিদ খানের স্পিন জাদুতে নাকানিচুবানি খেয়ে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলেন মিরাজরা। টানা দুই সিরিজ হারে র্যাঙ্কিংয়ে আরও অবনতি হয় বাংলাদেশের। ম্যাচে মিরাজের সিদ্ধান্ত নিয়েও সমালোচনা হয়েছে বেশ। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতে সবার কাছে সময় ও সমর্থন চাইলেন মিরাজ। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমার জন্য অবশ্যই কঠিন সময়। কিন্তু আমাকে একটু সময় দিতে হবে, সবার একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। অবশ্যই, আমি মানুষ—আমি ভুল করব। কিন্তু সেই জিনিসটা যদি সবাই সাপোর্ট করে এবং দিনশেষে তো আমরা দেশের হয়েই খেলি। আমার কাছে মনে হয় সবাই যদি একটু সাপোর্ট করে, সময় দেন ইনশাআল্লাহ আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
অধিনায়ক হিসেবে কঠিন সময় গেলেও মিরাজ বিশ্বাস করেন সামনে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, ‘দেখুন— আমরা তো ক্রিকেটার আমাদের কঠিন সময় আসবে। আমার কাছে একটা জিনিস মনে হয় খারাপ সময়ের পর ভালো সময় আসবে। যে সময়টা আমার গেছে হয়ত সামনে আরও ভালো সময় অপেক্ষা করছে।’
২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেই জাতীয় দলে নেই মাশরাফি বিন মুর্তজা। আরেক ক্রিকেটার তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন প্রায় দু’বছর হলো। রাজনৈতিক বাস্তবতায় জাতীয় দলে খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। সমালোচনার মুখে তারা দুজনই অবসর নিয়েছেন চলতি বছর। মিরাজ মনে করেন, তাদের মতো সিনিয়র কেউ থাকলে মাঠে সিদ্ধান্ত নেয়া তাঁর জন্য সহজ হতো।
এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘দেখুন— যদি কোনো সিনিয়র খেলোয়াড় দলে থাকতো তাহলে আমার জন্য জিনিসটা সহজ হয়ে যেতো। আমি যখন অধিনায়কত্ব পেয়েছি তখন আমি কিন্তু ওইরকম সিনিয়র কোনো খেলোয়াড়কে পাইনি। রিয়াদ ভাই, মুশফিক ভাই দুজনই অবসর নিয়েছে। মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই দুজনে যদি মাঠে থাকতো আমার জন্য কাজটা হয়ে যেতো। অনেক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও কাজটা সহজ হয়ে যেতো।’