বর্তমানে বিশ্বকাপ খেলা দলে খুলনা থেকে নিশিতা আক্তার নিশির মতোও ক্রিকেটারও আছেন। মাগুরা থেকে ফাহিমা খাতুন, যশোর থেকে সানজিদা হক মেঘলা ও রুবাইয়া হায়দারের মতো ক্রিকেটাররা উঠে এসেছেন। একটা সময় শুধুমাত্র হাতেগোনা কয়েকটা অঞ্চল থেকে ক্রিকেটার আসলেও বর্তমানে সেটা ছড়িয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দেশের অনেক পরিবারও আজ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে মেয়েকে নারী ক্রিকেটার হিসেবে। যা স্বাভাবিকভাবেই অনুপ্রাণিত করছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। সোবহানা জানান, এখন বেশিরভাগ মানুষই মেয়েদের ক্রিকেট দেখে। যা কিনা বড় দলের সঙ্গে লড়াই করতে তাদের অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সোবহানা বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন বেশিরভাগ ক্রিকেটারই উত্তর বঙ্গ থেকে আসতো। কিন্তু এখন আমাদের দলে চট্টগ্রাম, সিলেটের মতো জায়গার খেলোয়াড়ও আছে। খুব সম্ভবত তাদের বাবা-মারা এখন খেলা দেখছে এবং তাদের আসতে দিচ্ছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বকাপ দেখছে, এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার। বড় দলের বিপক্ষে লড়াই করতে এসব আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।’
চলতি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর সবগুলো ম্যাচেই হেরেছে তারা। যদিও সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কাকে হারানোর বড় সুযোগ ছিল তাদের হাতে। সুযোগ পেয়েও শেষের দিকে চাপ সামলাতে না পারায় হারতে হয়েছে জ্যোতিদের। টানা পাঁচ ম্যাচে হেরে যাওয়ায় সেমিফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ।
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতিপক্ষ ভারত। সেই ম্যাচের আগে নিজেদের ব্যাটিংয়ের উন্নতির কথা জানালেন সোবহানা। নিজেদের খেলা প্রথম বিশ্বকাপে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন ফারজানা পিংকি। তবে চলতি বিশ্বকাপে দুইটি করে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন সোবহানা ও সুপ্তা। একটি করে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন জ্যোতি, স্বর্ণা ও ঝিলিক। সোবহানা মনে করেন, অন্তত এই একটি জায়গায় উন্নতি হয়েছে তাদের।
ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘আপনার যদি ২০২২ বিশ্বকাপের কথা থাকে তাহলে আপনি জানেন সেটা আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ ছিল। ওই সময় ব্যাটিং বিভাগে আমরা বেশ খানিকটা দুর্বল ছিলাম। ওই বিশ্বকাপে আমাদের মাত্র একটা হাফ সেঞ্চুরি ছিল এবং সেটা পিংকু (ফারজানা হক) আপু করেছিল। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে দেখুন ৬-৭টা হাফ সেঞ্চুরি হয়েছে। আমার মনে হয় এটা একটা উন্নতি হয়েছে আমাদের। কারণ হাফ সেঞ্চুরি করা একেবারে সহজ না।’