নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইনসুইং ডেলিভারিতে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছেন মারুফা। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই ঝলক দেখান তিনি। দুর্দান্ত ডেলিভারিতে পরপর দুই বলে ফেরান ওমাইমা ও সিদরা আমিনের মতো পরীক্ষিত ব্যাটারদের। ডানহাতি পেসারের ইনসুইং ডেলিভারির যেন জবাবই ছিল না তাদের কাছে। ইংল্যান্ড ম্যাচেও দেখা গেছে মারুফার বোলিং ছন্দ।
সেই ম্যাচে অ্যামি জোন্সের উইকেট দুর্দান্ত ইনসুইংয়ে। প্রায় একই রকম ডেলিভারিতে ফিরিয়েছেন ট্যামি বেমাউন্টকে। দুই ম্যাচে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সে আইসিসির র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়েছেন মারুফা। তবে এখানেই থেমে না থেকে সামনে এগিয়ে যেতে চান। ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে ডানহাতি পেসার জানান, একা একা চিন্তা করেন এভাবে বসে থাকলে হবে না।
এ প্রসঙ্গে মারুফা বলেন, ‘নিজেকে মনে করি আমাকে এই জায়গায় রাখলে হবে না। সবসময় চিন্তা করি বড় কিছু করার। একা একা ভাবি বসে থাকলে কিছু হবে না। নিজে নিজে যদি একটু বড় কিছু চিন্তা করি তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু করতে পারব।’
২০২১ সালে প্রথমবার আলোচনায় আসেন মারুফা। সেই সময় নিজেদের গরু-মহিষ না থাকায় চাষের জমিতে নিজেই জোয়াল টেনে বাবাকে সহায়তা করেছেন তিনি। তবে সেসব দিন পেরিয়ে গেছে ডানহাতি পেসারের। প্রতিভার ছাপ রেখে দুর্দান্ত বোলিংয়ে জাতীয় দলে খেলার পাশাপাশি তারকা খ্যাতিও পেয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে মারুফার পরিবারের সেই কষ্টের দিনগুলোও বদলে গেছে।
বিশ্বকাপের মঞ্চে ভালো করায় তাকে স্বাভাবিকভাবেই গর্ববোধ করেন তাঁর বাবা-মা। মারুফা বলেন, ‘হ্যাঁ, পরিবার অবশ্যই গর্ববোধ করে। কারণ এত বড় একটা জায়গায় এসে ভালো পারফরম্যান্স করা...তারা আমাকে নিয়ে অবশ্যই গর্ববোধ করে।’
দুই ম্যাচের একটিতে জেতা বাংলাদেশকে এখনো পাঁচটি ম্যাচ খেলতে হবে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে দেশের মানুষের কাছে দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি তাদের নিরাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মারুফা বলেন, ‘দেশের মানুষ আমাদের জন্য দোয়া করে, আমাদের খেলা দেখে। তাদের কাছে চাইবো তারা যেন আমাদের জন্য আরও দোয়া করে। তারা যেন কখনো নিরাশ না হয়। ইনশাআল্লাহ, আমরা আমরা ভালো কিছু করব।’