ইনিংসের প্রথম বল থেকেই সুইংও মুভমেন্ট আদায় করে নিয়েছেন মারুফা। প্রথম তিন বলে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না মুনিবা আলী। চতুর্থ ডেলিভারিতে ব্যাটের কানায় বল লাগায় একটা রান পেয়ে যান তিনি। বাঁহাতি ব্যাটারের জন্য খুব বেশি ভয়ঙ্কর না হলেও ডানহাতি ব্যাটারের জন্য মারুফা একপ্রকার ‘যম’। পাকিস্তান ম্যাচেও সেটার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। ডানহাতি ওমাইমাকে পেয়ে নিজের শক্তির জায়গাটা কাজে লাগালেন বাংলাদেশের এই পেসার।
মারুফার অফ স্টাম্পের বেশ খানিকটা বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি আঘাত হানে টপ অব দ্য স্টাম্পে। বোল্ড হয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। পরের বলে আউট হয়েছেন সিদরা আমিনও। প্রায় একই রকম ডেলিভারিতে ইন সাইড এজ হয়ে বোল্ড হতে হয় তাকে। ছন্দে থাকা সিদরা আমিনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন মারুফা। প্রথম স্পেলে করা ৪ ওভারে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়েছেন তিনি।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। ডানহাতি এই পেসার জানান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ উইনার হবেন এমনটা দুই মাস আগেই ভেবে রেখেছিলেন তিনি। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মারুফা বলেন, ‘প্রথমত, এই বিশ্বকাপটা নিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। কারণ এটা আমার প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ। দুই মাস আগে থেকেই আমি ঘুমাতে যাওয়ার আগে সবসময় ভাবতাম প্রথম ম্যাচে আমি ভালো করব এবং ম্যাচ উইনার হবো। এটা করতে পেরে ভালো লাগছে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশে একমাত্র পেসার হিসেবে ছিলেন মারুফা। বাকিদের সবাই ছিলেন স্পিনার। মারুফা প্রথম ওভারে ২ উইকেট নেয়ার পর প্রতিপক্ষকে অল আউট করতে বাকি কাজটা সেরেছেন নাহিদা আক্তার, রাবেয়া খান ও স্বর্ণা আক্তারের মতো স্পিনাররা। ম্যাচ শুরুর আগে মারুফাকে নাহিদা বলেছিলেন, পেস ও স্পিনকে আলাদা করে না দেখে তাদের একসাথে ভালো বোলিং করতে হবে। সেই সঙ্গে সতীর্থরা যে তাকে সমর্থন করেন সেটাও জানিয়েছেন মারুফা।
ডানহাতি এই পেসার বলেন, ‘ম্যাচ শুরুর আগে আমি সাইড উইকেটে বোলিং করছিলাম। তখন নাহিদা আপু বলছিল, ‘মারুফা আমরা বোলার, আমাদেরকে একসাথে ভালো করতে হবে।’ আমারও সেটাই মনে হয় আমরা সবাই একসাথে। আপনি তো সোবহানা আপুকে চেনেন—সবসময় সে আমাকে বলে, ‘তুমি ভালো বোলার আর তুমি যদি ভালো করো তাহলে দল উপকৃত হবে।’