পর্যবেক্ষণের পর সাকিবকে নিয়ে সিদ্ধান্ত

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আঙুল ফুলে যাওয়ায় ও ব্যথার কারণে চেন্নাই টেস্টে স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে বোলিং করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। কানপুর টেস্টের আগে এই দলে এই অলরাউন্ডার জায়গা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। টিম ম্যানেজমেন্ট সাকিবের চোট সম্পর্কে জানে কিনা তা নিয়েও ছিল ধোঁয়াশা।
অবশ্য বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হান্নান সরকার জানিয়েছেন চেন্নাই টেস্ট শুরুর আগেও শতভাফ ফিট ছিলেন সাকিব। ম্যাচ চলাকালীন তিনি বল করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন। দ্বিতীয় টেস্টের আগে সাকিবকে পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন হান্নান।

সোমবার চেন্নাইতে টিম হোটেলের সামনে গণমাধ্যমকে হান্নান বলেন, ‘আপনি সরাসরি চোট বলতে পারবেন না। কিছু ছোট ছোট ব্যাপার থাকে, যে আঙুলটায় অসুবিধা হয়েছিল, সেটা ম্যাচের আগে সে ফিল করতে পারেনি। বোলিং করা শুরু করার পর ফিল করেছে। সেই আঙুলে আবার বল লেগেছে। সেদিক থেকে কিছুটা তো ব্যথা রয়েছে। যেহেতু সেকেন্ড টেস্টের আগে সময় আছে, আমাদেরও দেখার সুযোগ রয়েছে। সাকিব এমন একজন প্লেয়ার, সে যদি খেলতে না পারে, যদি মনে করে বোলিং করতে পারবে না, তাহলে কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারে। আর সে যদি মনে করে বোলিং-ব্যাটিং কিছুই করতে পারবে না, তাহলে সিনারিও ভিন্ন। সময় যেহেতু আছে, পরে আমরা দেখেশুনে জাজমেন্টে যাব।’
বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাট হাতে ধুঁকছেন সাকিব। মূলত চোখের সমস্যার কারণে তাকে ব্যাটিংয়ের সময় অস্বস্তি দেখা গেছে তার। সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠলেও রানে ফিরতে পারছেন না সাকিব। অবশ্য হান্নান জানালেন বোলিং করতে না পারলেও ব্যাটিং করতে পারবেন সাকিব। তবে ব্যাটিং-বোলিং কোনোটাই না করতে পারলে ভিন্ন পরিস্থিতি হবে বলে জানিয়েছেন হান্নান। কানপুরে সাকিবকে আগে পর্যবেক্ষণ করে এরপর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘সাকিবকে নিয়ে ম্যাচে যাওয়ার আগে আমাদের সবসময় চিন্তা করে নিতে হয়। পরের ম্যাচের আগে আমাদের সেই চিন্তার সময় আছে। আমরা দেখব তাঁর কী অবস্থা। আমরা জানি যে সাকিবের হাতের ব্যথা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এটা কিন্তু ম্যাচের আগে ছিল না। অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা ম্যাচের আগে ফিজিওর ১০০ ভাগ ক্লিয়ারেন্স নিয়েই তাঁকে দলে রেখেছি। তখন ১০০ ভাগ ফিটই ছিল। পরের ম্যাচের আগে সময় আছে, আমরা তাঁকে নিয়ে চিন্তা করব।’
চেন্নাইতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২১ ওভার বল করে উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৩২ ও ২৫ রান করেন তিনি। তার কাছ থেকে সেরাটা পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাকে দল থেকে বাদ দেয়ারও দাবি তুলেছেন অনেকে। অবশ্য হান্নান জানিয়েছেন সাকিব দলের সেরা খেলোয়াড়। তাকে নিয়ে দল সাজানো সহজ।
হান্নানের ভাষ্য, ‘সাকিব আসলে আমাদের সেরা খেলোয়াড়। এটা আমাদের বলতেই হবে। সাকিব যদি একাদশে থাকে, তাহলে কম্বিনেশন সাজানো সহজ হয়। সে জায়গায় থেকে সাকিব এ ম্যাচেও খেলেছে। তাঁর ব্যাটিংটা আমার খুব ভালো লেগেছে। অন্যদের তুলনায়, সাকিবের আগের ব্যাটিংয়ের তুলনায় এই ম্যাচে তাঁকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। খুব স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেছে, চাপ হ্যান্ডেল করেছে। হ্যাঁ, রানটা বড় হয়নি। এটা ঠিক। কিন্তু সাকিব বরাবরই আমাদের দলের ব্যালেন্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’