রশিদ, নূর আহমেদ, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবিদের নিয়ে গড়া বোলিং লাইন আপ দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যেকোনো প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে আফগানিস্তান। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ কিংবা ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেটারই প্রমাণ। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশিতভাবে রান করার কারণেই ওই দুই বিশ্বকাপে সাফল্য পেয়েছে তারা। কদিন আগে শেষ হওয়া এশিয়া কাপে সেই ব্যাটিংয়েই ভরাডুবি হয়েছে তাদের।
হংকং চায়নার বিপক্ষে ভালো ব্যাটিং করলেও শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সেটা করতে পারেনি আফগানিস্তান। ব্যাটিং ব্যর্থতার ছাপ পড়েছে বাংলাদেশ সিরিজেও। ভালো শুরুর আভাস দিলেও পরোক্ষণেই দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে তারা। ৪০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে কেবল দেড়শ পার করেছে আফগানরা। ব্যাটিংয়ে এমন দুর্দশার জন্য শট সিলেকশনের পাশাপাশি ব্যাটারদের গেইম অ্যাওয়ারনেসেরও অভাব দেখছেন রশিদ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ১৭০-১৮০ রান হতে পারতো। পুরো এশিয়া কাপ জুড়ে শট সিলেকশন আমাদের ভুগিয়েছে। এটা আসলে স্কিলের ব্যাপার না, এটা পুরোপুরি গেইম অ্যাওয়ারনেসের ব্যাপার। পুরো এশিয়া কাপে আমরা উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছি, এমনকি এখানেও। আশা করি আমরা শিখব এবং ভালো করতে থাকব। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকাপ। ব্যাটারদের উচিত নিজেদের স্বাভাবিক খেলায় মনোযোগ দেওয়া—সময় নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু চাপের মুখে শট বাছাইয়ের ভুলটা হয়ে যায়।’
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না আফগান বোলাররা। ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ১০৯ রান তোলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। যদিও পরবর্তীতে রশিদের ঘূর্ণিতে ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারায় সফরকারীরা। আফগান অধিনায়ক মনে করেন, প্রথম ৬-১০ ওভারে তারা ভালো বোলিং করতে পারেননি।
রশিদ বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রথম ৬-১০ ওভারে আমরা ভালো বোলিং করিনি। যত বেশি স্টাম্পে বল করা যায়, তত ভালো, কারণ ,বাইরে বল করলেই রান নেয়া সহজ হয়ে যায়। আমি মনে করি, আমরা যখনই নিয়মিতভাবে স্টাম্পে বল করতে শুরু করেছি এবং ব্যাটসম্যানদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছি, তখনই ম্যাচে ফিরতে পেরেছি।’
বাংলাদেশের এমন শুরুর পরও ম্যাচে ফেরায় বোলারদের কৃতিত্বও দিয়েছেন রশিদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে শুরু করেছিল—শেষ ৮ ওভারে ৫০ রান প্রয়োজন ছিল, সেখান থেকে ফেরার জন্য সবার খুব ভালো প্রচেষ্টা ছিল। আমার এখনো মনে হয় আমরা আরও ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যখন আপনার কাছে মোমেন্টাম থাকবে তখন সেটা হারাতে পারবেন না।’