১৫২ রান তাড়ায় হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তানজিদ ও ইমনের দুজনই। উদ্বোধনী জুটিও ছাড়িয়ে যায় একশ। তবে রশিদ খানের স্পিন ঘূর্ণিতে আচমকা বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। ইমন আউট হওয়ার একটু পর রশিদের গুগলি বুঝে উঠতে না পেরে শূন্য রানে ফিরেছেন সাইফ হাসান। একই ওভারের শেষ বলে হাফ সেঞ্চুরিয়ান তানজিদের উইকেটও নিয়েছেন ডানহাতি এই লেগ স্পিনার। নিজের শেষ ওভার নিয়েছেন আরও দুই উইকেট।
ফিরিয়েছেন জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে। রশিদের পরের ওভারে তানজিমকে আউট করেন নূর আহমেদ। জয়ের খুব কাছে থাকলেও ৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। এমনকি হারের শঙ্কাও জাগে। যদিও রিশাদ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের ক্যামিওতে ৪ উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা। ম্যাচ শেষে সঞ্চালক জাকেরের কাছে জানতে চান, ওই মুহুর্তে হার্টবিট কেমন ছিল?
বাংলাদেশের অধিনায়ক অবশ্য জানালেন, ড্রেসিং রুমে তিনি আরাম করেই বসেছিলেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে এমনটা হতে পারে সেটাও বললেন তিনি। জাকের বলেন, ‘আমি ড্রেসিংরুমে আরাম করে বসেছিলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে। ছেলেরা যেভাবে এফোর্ট দিয়েছে সেটাতে আমি সন্তুষ্ট।’
ম্যাচ জিতলেও ব্যাটি-বোলিং দুই জায়গাতেই উন্নতির প্রয়োজন দেখেন জাকের। তিনি বলেন, ‘আমরা (রান তাড়ার) শুরুটা ভালো করেছিলাম। এরপর ধস নামাটা দুশ্চিন্তার। তবে ক্রিকেট একটা মজার খেলা। তারাও আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। জেতা-হারাটা খেলাটারই অংশ। বোলিং আর ব্যাটিং—দুই দিকেই কিছু জায়গায় উন্নতির প্রয়োজন আছে।’
সবশেষ কয়েক বছরে বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখছেন তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানরা। সাম্প্রতিক সময়ে রিশাদ, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিবরাও নিজেদের কাজটা করছেন ঠিকঠাকই। আফগানদের ১৫১ রানে আটকে দিয়ে জয়ের কাজটা সহজও করে দিয়েছেন বোলাররা।
যদিও ডেথ ওভারে প্রত্যাশা মেটাতে না পারায় উন্নতির তাগিদ দিয়েছেন জাকের। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, ‘বোলাররা এশিয়া কাপে ভালো করেছে, সব সময়ই ভালো করে। কিন্তু আমরা আজ শেষ দিকে কিছু বেশি রান দিয়েছি। এ জন্যই বলছি যে উন্নতির জায়গা আছে।’