সোহানের চোখে ব্যাটিং ধসের কারণ মানসিক প্রস্তুতির ঘাটতি

বাংলাদেশ
সোহানের চোখে ব্যাটিং ধসের কারণ মানসিক প্রস্তুতির ঘাটতি
ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে ১০৯ রান তোলে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে টাইগারদের জয়টা তখন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র! অথচ রশিদ খানের স্পিনে জাদুতে আসা-যাওয়ার মিছিলে নেমে পড়লেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৯ রানের ব্যবধানে মাত্র ৬ উইকেট হারিয়ে একটা সময় হারের শঙ্কাও জাগিয়েছিলেন তারা। যদিও রিশাদ হোসেন ও নুরুল হাসান হোসেনের ব্যাটে জয়টা নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। ভালো শুরুর পরও আচমকা এমন ব্যাটিং ধসের জন্য ব্যাটারদের স্কিলের চেয়ে মানসিক প্রস্তুতির বেশি ঘাটতি দেখছেন সোহান।

সাম্প্রতিক সময়ে ভালো শুরুর পরও হঠাৎ করেই ব্যাটিং ধস হচ্ছে বাংলাদেশের। সবশেষ এশিয়া কাপেও দেখা গেছে এমন চিত্র। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সেটার ভিন্ন কিছু দেখা গেল না। নাসুম আহমেদ, রিশাদ, তানজিম হাসান সাকিবরা আফগানদের আটকে দিয়েছিলেন ১৫১ রানে। শারজাহতে এমন রান তাড়া করাটা খুব বেশি কঠিন হওয়ার কথা ছিল না বাংলাদেশের জন্য। তানজিদ ও ইমন মিলে টাইগারদের ওমন শুরুই এনে দিয়েছিলেন।

কোনো উইকেট না হারিয়ে দুজনে মিলে তুলেছিলেন ১০৯ রান। এমন জায়গা থেকে ১০ উইকেটে জয়ের স্বপ্নে বিভোর হওয়ার কথা সবার। অথচ রশিদের আচমকা এক ঘূর্ণিতে উল্টে যায় পাশার দান। ইমন আউট হওয়ার একটু পর রশিদের গুগলি বুঝে উঠতে না পেরে শূন্য রানে ফিরেছেন সাইফ হাসান। একই ওভারের শেষ বলে হাফ সেঞ্চুরিয়ান তানজিদের উইকেটও নিয়েছেন ডানহাতি এই লেগ স্পিনার। নিজের শেষ ওভার নিয়েছেন আরও দুই উইকেট।

ফিরিয়েছেন জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে। রশিদের পরের ওভারে তানজিমকে আউট করেন নূর আহমেদ। জয়ের খুব কাছে থাকলেও ৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। যদিও রিশাদ ও সোহানের শেষের ক্যামিওতে ৪ উইকেট জিতেছে সফরকারীরা। সোহান জানান, এশিয়া কাপ শেষেও বাংলাদেশের আচমকা ব্যাটিং ধস নিয়ে আলাপ করেছেন তারা। পাশাপাশি এটাও স্বীকার করে নিলেন, এটা নিয়ে টাইগাররা অনেকদিন ধরে ভুগছে।

ম্যাচ শেষে সোহান বলেন, ‘যেভাবে আমাদের ব্যাটিং ধস হয়েছে— আসলে আমরা খুব অল্প সময়ের ভেতরে অনেকগুলো উইকেট হারিয়েছি। আমার মনে হয় অবশ্যই টিম মিটিংয়ে আমাদের কথা হবে। যেটা বললাম এটা (হঠাৎ ব্যাটিং ধস) নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই ভুগছি। অবশ্যই, এই জায়গা থেকে কিভাবে উন্নতি করা যায় সেটা নিয়ে সবাই কথা বলছে এবং এশিয়া কাপের পরেও এটা নিয়ে কথা হয়েছে। অবশ্যই, এখানে উন্নতি করার অনেক জায়গায় আছে।’

বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং ধসের জন্য স্কিলের চেয়ে মানসিক প্রস্তুতির বেশি ঘাটতি দেখছেন সোহান। তিনি বলেন, ‘দেখুন— যদি বলি, আমরা অনেকদিন ধরে ক্রিকেট খেলছি কিন্তু এরকম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হয়ত আমরা আমাদের মানসিক প্রস্তুতির জন্য অনেক সময় ব্যর্থ হই। আমার কাছে মনে হয় উইকেট একই ছিল। ইমন এবং তামিম খুব ভালো শুরু এনে দিয়েছিল আমাদের। আমাদের ভেতরেই হয়ত একটু সন্দেহ ছিল, যেহেতু স্পিন বোলিংয়ে তাদের দুজনই বিশ্বমানের। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় স্কিলের চেয়ে আমাদের মানসিকভাবে এই জায়গায় উন্নতি করার আরও সুযোগ আছে।’

এমন সমস্যা নিয়ে অবশ্য কাজ করার জন্য খুব বেশি সময় পাচ্ছে না বাংলাদেশ। কারণ ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮ টায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামতে হবে তাদের। দ্বিতীয় ম্যাচে ওই জায়গায় উন্নতির ছাপ রাখতে চান সোহান।পাশাপাশি ডানহাতি ব্যাটার এও জানান, ব্যাটিং ধসের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে উন্নতি করার সময় এসে গেছে।

সোহান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমরা যে জায়গায় ব্যর্থ হয়েছি— অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে যেহেতু কালকে আবার ম্যাচ আছে, এই জায়গা থেকে কিভাবে উন্নতি করা যায়। কারণ আমার কাছে মনে হয় এই সমস্যাটা আমাদের জন্য নতুন না। অনেকদিন ধরে আমরা এটা নিয়ে ভুগছি। এই জায়গায় আসলে উন্নতি করার সময় এসেছে।’

আরো পড়ুন: নুরুল হাসান সোহান