বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ • গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, লাহোর

TEAM1
TEAM2

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই লড়াই করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচেই হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে আগেই। এবার হোয়াইটওয়াশ ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামতে চলেছে বাংলাদেশ।

এমন সিরিজে পাওয়ার কিছু না থাকলেও শেষ ম্যাচ জিতে সান্ত্বনা খুঁজতে পারে বাংলাদেশ দল। সেই লক্ষ্যেই লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে এই ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়েছে। টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আঘা। ফলে আগে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ।

একাদশে শরিফুলের বদলি খালেদ

এই ম্যাচেও তিন পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়া শরিফুল ইসলামের জায়গায় খেলছেন খালেদ আহমেদ।

বাংলাদেশ একাদশ- 

পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম পাটোয়ারি, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, খালেদ আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ।

বিনা উইকেটে ৫৩ বাংলাদেশের

ব্যাট হাতে বেশ ভালোই শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। শুরু থেকে একটু বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন ইমন। সাইম আইয়ুবের করা তৃতীয় ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে তুলে নেন ১৯ রান। এরপর হাসান আলীর করা চতুর্থ ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে জীবন পান তানজিদ। লং অফে তার ক্যাচ ফেলেছেন ফাহিম আশরাফ। উল্টো বাউন্ডারি হজম করেন সেই বলে। এর পরের বলে মিড অফ দিয়ে তানজিদ মারেন আরেকটি চার। ইমন-তানজিদের ব্যাটে বাংলাদেশ ৫.৩ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ তুলে নেয়।

২৭ বলে ইমনের হাফ সেঞ্চুরি

পাওয়ার প্লের পরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন ইমন। তিনি মাত্র ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। অষ্টম ওভারে আবরার আহমেদের ওপর চড়াও হন ইমন। তৃতীয় বলেই মিড উইকেট দিয়ে মারেন ছক্কা। এক বল পর শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে চার। পরের বলে সুইপ করে ডিপ স্কয়ার দিয়ে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ইমন।

ইমনের ছক্কায় বাংলাদেশের ‘সেঞ্চুরি’

প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন পারভেজ হোসেন ইমন। ২৭ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখাও। পারভেজ ইমনকে দরুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের ১১তম ওভারের প্রথম বলে ফাহিম আশরাফকে ছক্কা মেরে দলের রান একশ পূরণ করেন ইমন।

বাংলাদেশের একশ ছোঁয়ার ওভারে আউট তানজিদ

ফাহিম আশরাফের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে বাংলাদেশের রান একশ ছুঁয়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। পরের বলে কভার দিয়ে মেরেছেন চার। ইমন সিঙ্গেল দিয়ে নন স্ট্রাইক প্রান্তে আসার পরই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফাহিমের শর্ট লেংথের স্লোয়ার ডেলিভারিতে অফ স্টাম্পের বাইরে গিয়ে ফাইন লেগের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় শর্ট ফাইন লেগে আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি এই ওপেনার।

৪ বলে দুই ওপেনারকে হারাল বাংলাদেশ

আগের ওভারেই ফাহিম আশরাফের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে আউট হয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। পরের ওভারে ফিরেছেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনও। লেগ স্পিনার শাদাব খানের গুগলিতে ছক্কা মারার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে উইকেটকিপার মোহাম্মদ হারিসের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলা পারজে ইমন।

১৫ ওভারে বাংলাদেশের ১৫০

তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের রান বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। তাদের দুজনের ব্যাটেই ১৫ ওভারে দেড়শ ছুঁয়েছে সফরকারীরা।

হাসানের শিকার হয়ে ফিরলেন লিটন

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ইনিংস টানছিলেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। এই দুজনের ৪৯ রানের জুটি ভেঙেছেন হাসান আলী। ১৮ বলে ২২ রান করা লিটনকে তিনি বোল্ড করে আউট করেছেন। ফলে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।

একই ওভারে শামীম-হৃদয়ের বিদায়

শামীম পাটোয়ারি এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন। আব্বাস আফ্রিদির বলে রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে ৪ বলে ১৯ রান করে ফেরেন তিনি। এর এক বল পরেই ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন সাইম আইয়ুবের হাতে। ফলে ১৭২ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।  হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৫ রানের ইনিংস।

দারুণ শুরুর পরও দুইশ হলো না বাংলাদেশের

১৯তম ওভারে বল করতে আসেন ফাহিম আশরাফ। প্রথম বলেই জাকের আলীর ক্যাচ ফেলেন বোলার নিজেই। শেষ ওভারের প্রথম বলে হাসান আলী আউট করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। পয়েন্টে তিনি ক্যাচ দিয়েছেন হাসান নাওয়াজকে। এরপর জাকের ও তানজিম সাকিব মিলেও বাংলাদেশকে দুইশ রানে নিয়ে যেতে পারেননি। বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান।

প্রথম ওভারেই উইকেট নিলেন মিরাজ

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। মাত্র ১ রান করে শাহীবজাদা ফারহান আউট হয়ে যান। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ডিপ স্কয়ারে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ হয়েছেন।

বাংলাদেশের চিন্তা বাড়াচ্ছেন সাইম-হারিস

ফারহান ফেরার পর পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানকে আর কোনো বেগ পেতে দেননি সাইম আইয়ুব ও মোহাম্মদ হারিস। দুজনে মিলে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। পাওয়ার প্লে শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫৬ রান।

হারিসের হাফ সেঞ্চুরি, সাইমকে ফেরালেন সাকিব

দশম ওভারে তানজিম সাকিবের করা তৃতীয় বলে থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে চার মেরে মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হারিস। এর পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দলীয় ১০০তে নিয়ে যান এই ব্যাটার। সেই ওভারের পঞ্চম বলে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাইম আইয়ুব আউট হয়েছেন তানজিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

আরেকটি উইকেট এনে দিলেন মিরাজ

এরপর হাসান নাওয়াজকে নিয়ে পাকিস্তানের রান বাড়াতে থাকেন হারিস। তবে এই জুটি ভেঙেছেন মিরাজ। এই স্পিনারের বলে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন রিশাদের হাতে। 

হারিসের সেঞ্চুরি

অন্য প্রান্তে ব্যাটারদের আসা যাওয়া থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন হারিস। তিনি ৪৫ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ওপেনার ছাড়া এবারই প্রথম পাকিস্তানের কোনো ব্যাটার টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পেলেন। এর ফলে তারা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।