ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় দিনের বিনা উইকেটে ৩২ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন লাথাম ও কনওয়ে। সকালের প্রথম ঘণ্টা বেশ ভালোভাবেই সামলেছেন তারা দুজন। তবে প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগে কনওয়েকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শিল্ডস। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে কাভিম হজের হাতে ক্যাচ দেন ৭৮ বলে ৩৭ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনার। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি কেন উইলিয়ামসন।
২৮ বলে ৯ রান করে রোচের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। উইলিয়ামসন ফেরার পর দিনের প্রায় বাকিটা সময় কাটিয়ে দিয়েছেন লাথাম ও রাচিন। ওপেনার কনওয়ে না পারলেও লাঞ্চের পর ১১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন লাথাম। একটু পর ৫২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন রাচিন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দুজনই সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন। চা বিরতিতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ১৭৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লাথাম।
দ্রুতই হাফ সেঞ্চুরি পেলেও পরবর্তীতে একটু দেখেশুনে খেলতে থাকেন রাচিন। যদিও বাঁহাতি ব্যাটারের সেঞ্চুরি পেতে খেলতে হয়েছে ১০৮ বল। একটু পর ১৫২ বলে দেড়শ ছুঁয়েছেন। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন ২৭৯ রানের জুটি ভেঙেছেন রোচ। তৃতীয় উইকেটে নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় সেরা জুটি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সবমিলিয়ে দুইয়ে।
১৯৭২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্লেন টার্নার ও টেরি জার্ভিস উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮৭ রান তুলেছিলেন। লাথামের পর ডাবল সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে রাচিনকে ফিরতে হয়েছে ২৭ চার ও এক ছক্কায় ১৮৫ বলে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলে। শেষ বিকেলের বাকিটা সময় ভালোভাবেই কাটিয়ে দিয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও উইল ইয়াং। তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ৪১৭ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড।