কলকাতা টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিন বল খেলার পরই ঘাড়ের সমস্যা নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন গিল। পরবর্তীতে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। একদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও মাঠের ক্রিকেটে ফিরতে পারেননি গিল। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও খেলতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার।
এমনকি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাকে। চোটে কাটিয়ে গিল ফিরতে না পারায় ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লোকেশ রাহুল। তবে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে রাখা হয়েছে গিলকে। মেডিকেল বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে ম্যাচ খেলতে পারবেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
গিলের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছেন হার্দিক পান্ডিয়াও। গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচ খেলার সময় চোটে পড়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার। কুশল মেন্ডিসকে আউট করার পর প্রথম ওভার শেষেই মাঠে ছেড়েছিলেন তিনি। এমন অবস্থায় পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে পারেননি হার্দিক।
ভারত অস্ট্রেলিয়া সফর করলেও সেখানে ছিলেন না তিনি। চোট কাটিয়ে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি দিয়ে মাঠে ফিরেছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। মাস দুয়েক পর প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে বোলিংয়ে ৫২ রানে ১ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি অপরাজিত ৭৭ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছেন।
হার্দিক ফিরলেও দলে জায়গা হয়নি রিংকু সিং ও নীতিশ কুমার রেড্ডি। ৯ ডিসেম্বর শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বাকি ম্যাচগুলো হবে ১১, ১৪, ১৭ এবং ১৯ ডিসেম্বর। ম্যাচগুলো হবে কোটাক, চন্ডিগড়, ধর্মশালা, লক্ষ্ণৌ এবং আহমেদাবাদে।
ভারতের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড- সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিভাম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা, সাঞ্জু স্যামসন, জসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী, আর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, হার্শিত রানা এবং ওয়াশিংটন সুন্দর।