পিঠের ব্যথায় ভুগতে থাকা উসমান খাওয়াজার জায়গায় দ্বিতীয় ইনিংসে হেডকে ওপেনিংয়ে নামিয়েছিল অজিরা। দলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। অভিষিক্ত ওপেনার জ্যাক ওয়েদারল্ডের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন হেড। ব্রড মনে করেন হেড যখন ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেছিলেন তখন ইংল্যান্ডের উচিত ছিল তাকে স্ট্রাইক থেকে দূরে রাখা।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান রেডিও এসইএনকে ব্রড বলেন, 'হেড যখন পুরো ছন্দে ছিল, তখন ইংল্যান্ডের উচিত ছিল তাকে যতটা সম্ভব স্ট্রাইক থেকে দূরে রাখা। প্রতি ওভারে সে যেন এক বলের বেশি না খেলতে পারে। হিপের ওপর ক্লিপ করে এক রান নিল—ঠিক আছে, কিন্তু তাকে যেন টানা চার-পাঁচ বল খেলার সুযোগ না দেয়া হয়।'
ব্রডের মতে, হেডকে চাপে ফেলার বড় সুযোগ ছিল মার্নাস ল্যাবুশেনকে ডট বল খেলিয়ে চাপে ফেলা। চল্লিশ মিনিট এভাবে চললে হেড বিরক্ত হয়ে তখনই কোনো বেপরোয়া শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যেতেন। তা ইংল্যান্ডের জন্য বড় সুযোগ হতে পারত। ইংল্যান্ডের কৌশলগত ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন ব্রড।
তিনি যোগ করেন, 'চল্লিশ মিনিট এভাবে চললে হেড বিরক্ত হবে, তখনই কোনো বেপরোয়া শট খেলতে পারে—আর সেখানেই সুযোগ। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট আমরা সবাই দেখতে ভালোবাসি। কিন্তু সব সময় সবচেয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত মানে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে যাওয়া নয়। মাঝে মাঝে ম্যাচের চাপ কমাতে হয়, যাতে প্রতিপক্ষকে অন্য কিছু খেলতে বাধ্য করা যায়।'
হেডকে থামানোর জন্য ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসের হাতে তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান ছিল না বলেও মনে করেন ব্রড। তিনি বলেন, 'এটা পুরো কৃতিত্ব হেডের। ইংল্যান্ড তার জন্য যে পরিকল্পনা করেছিল, সেটা ছিল পাঁচ নম্বরে নামার জন্য। কিন্তু খাজা ইনজুরির কারণে হেড ওপেন করল। হঠাৎ নতুন বল হাতে—কিন্তু ওপেনার হেডের বিরুদ্ধে নতুন পরিকল্পনা তারা তৈরি করেনি। তাই দলটা একটু গুলিয়ে যায়।'