দুজন দুজনের পিঠ চাপড়ে দিলেন। লারা উত্তর দিলেন, ‘খারাপ নয়।’ প্রতি উত্তরে জয়সাওয়ালও বললেন, ‘আমি ভালো আছি।’ দুজনের কুশল বিনিময়ের মধ্যেই জয়সাওয়ালকে উদ্দেশ্য করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার বলেন, ‘আমাদের বোলারদের এতো মেরো না।’ হাসতে হাসতে ভারতের ব্যাটার উত্তর দিলেন, ‘না, এমন কিছু নয়। আমি শুধু (ভালো খেলার) চেষ্টা করছি।’
দিল্লি টেস্টে জয়সাওয়াল যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তাতে তাকে উদ্দেশ্য করে লারার এমন করে বলাটা স্বাভাবিকই। ইনিংসের শুরুতে খানিকটা সময় নিয়েছিলেন তিনি। সাবধানী ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটার পরবর্তীতে ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়িয়েছেন। পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখাও।
বয়স ২৪ ছোঁয়ার আগেই টেস্টে ৭ সেঞ্চুরি করে কিংবদন্তিদের পাশে বসেছেন তিনি। একই বয়সে জয়সাওয়ালের সমান সাতটি করে সেঞ্চুরি ছিল জাভেদ মিয়াঁদাদ, গ্রায়েম স্মিথ, অ্যালিস্টার কুক ও কেন উইলিয়ামসনের। রান আউট হয়ে ফেরার আগে ২২ চারে ২৫৮ বলে ১৭৩ রানের ইনিংস খেলেন জয়সাওয়াল।
এমন ব্যাটিংয়ে ভারতকে পুঁজি পেতে সহায়তা করেছেন তিনি। তরুণ ওপেনারের মতো সেঞ্চুরি পেয়েছেন শুভমান গিলও। তাদের দুজনের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৫১৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। দিনের খেলা শেষে জয়সাওয়াল জানান, ক্রিজে যাওয়ার পর তিনি সবসময় সময় নেয়ার চেষ্টা করেন এবং পরিস্থিতি বুঝে খেলার চেষ্টা করেন।
এ প্রসঙ্গে জয়সাওয়াল বলেন, ‘আমি সবসময় দলকে আগে রাখি, দলের জন্য কীভাবে খেলতে পারি এবং ওই মুহূর্তে (ক্রিজে থাকার সময়) দলের জন্য কী গুরুত্বপূর্ণ, সবসময় এটাই ভাবি। আর এটাই আমাকে বলে দেয় যে, কীভাবে খেলা উচিত, কী শট খেলতে পারি, উইকেট কেমন এবং আমি যদি ক্রিজে থাকি, যতটা সম্ভব সময় নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করি। ভালো শুরু পেলে এটাই আমার মানসিকতা থাকে, নিশ্চিত করি ইনিংসটাকে বড় করার বিষয়টি।’