এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেননি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। আইসিসির নির্লিপ্ত ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক এই উইকেটরক্ষক। তার মতে, ভারতীয়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও সেটি সম্ভব নয়, কারণ আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন ভারতের জয় শাহ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লতিফ লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, তোমরা ভারত ক্রিকেট দল। হ্যাঁ, তোমরা বিশ্বের সেরা দল…কিন্তু খেলা শেষে হাত মেলাওনি। এতেই তোমাদের আসল রূপ প্রকাশ পায়! পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা অপেক্ষা করছিল, কিন্তু ভারতের খেলোয়াড়েরা সোজা ড্রেসিংরুমে চলে গেল! আইসিসি কোথায়?’
পিসিবি এ ঘটনার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে। পিসিবির এক কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানান, ‘আম্পায়াররা ভারতীয় খেলোয়াড়দের খেলা শেষে হাত না মিলিয়েই মাঠ ছাড়তে দিয়েছেন। আমাদের টিম ম্যানেজারের প্রতিবাদের পর ম্যাচ রেফারি এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
খেলার আগে ও পরে নির্দেশনার ভিন্নতা নিয়েও অভিযোগ করেছে পিসিবি। তাদের দাবি, টসের সময় ম্যাচ রেফারি দুই অধিনায়ককে হাত না মেলানোর পরামর্শ দিলেও খেলা শেষে এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। এতে করে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা মাঠে দাঁড়িয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন।
পিসিবি চেয়ারম্যান ও এসিসি প্রধান মহসিন নাকভি এ নিয়ে বলেন, ‘আজকের (গত রাতের) খেলায় খেলোয়াড়সুলভ মনোভাবের সম্পূর্ণ অভাব দেখা গেল। খেলায় রাজনীতি টেনে আনা খেলাধুলার মূল চেতনার পরিপন্থী।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রশিদ লতিফ বলেন, ‘যুদ্ধ আগেও হয়েছে, কিন্তু আমরা সব সময় হাত মিলিয়েছি। এ ঘটনা সারা জীবনের জন্য দাগ হয়ে থাকবে। যদি পেহেলগাম হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা থাকে, তাহলে অপরাধীদের ধরুন। কিন্তু ভারত তো যুদ্ধ করেনি, অর্ধেক পথে ছেড়ে দিয়েছে।’
মাঠে ভারতের আধিপত্য নিয়ে আপত্তি নেই, তবে মাঠের বাইরে আচরণ নিয়েই আপত্তি সাবেক পেসার শোয়েব আখতারের। পিটিভি স্পোর্টসের গেম অন হে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ভারতকে অভিনন্দন, তোমরা দারুণ খেলেছ। আমরা তোমাদের সম্পর্কে ভালো কথাই বলছি, কিন্তু চাইলে সমালোচনাও করতে পারি। তোমরা সৌজন্য দেখাও, হাত মেলাও। খেলার সঙ্গে রাজনীতি টেনে এনো না।’